Published : 22 May 2025, 01:58 AM
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতিসহ কয়েকজন সদস্যের ওপর স্থানীয় এক ব্যক্তির অনুসারীরা হামলা করেছেন।
একটি চায়ের দোকান সরাতে বাধা দেওয়ায় এ হামলা হয় বলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, যাতে ৫-৬ জন সাংবাদিক আহত হন।
সাংবাদিকরা সেগুনবাগিচার স্থানীয় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের অভিযোগ, ওই এলাকায় দুটি চায়ের দোকানের মধ্যে একটি বিকালে সরিয়ে দেন জাকির হোসেন। রাতে আরেকটি দোকান সরিয়ে মালামাল বোঝাই করতে এলে সাংবাদিকদের একজন বাধা দেন। এসময় জাকির হোসেন পিস্তল বের করে ওই সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হলে তার চিৎকারে অন্যরা ছুটে যান।
তিনি বলেন, এসময় ওই ব্যক্তি কিছু লোকজন নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এগিয়ে গেলে তিনিও (আকন) হামলার শিকার হন।
হামলার বিষয়ে ডিআরইউর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ”পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে ডিআরইউ) হামলা চালিয়েছে দখলবাজ আওয়ামী দোসর সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা। এই সময় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, "সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার আমরা মামলা করব। জাকির গংরা গত ১৬ বছর সাংবাদিক ও এলাকার নিরীহ মানুষের উপরে নির্যাতন ও রামরাজত্ব কায়েম করেছে।"
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম বলেন, "একটি টং দোকান নিয়ে ঝামেলা হয়। এটা জাকিরের লোকজন চালাত। এ নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে, তবে আমরা যাওয়ার পর কোন হামলা বা মারামারি দেখিনি।"
তিনি বলেন, "ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসেছিল। জাকিরের লোকজন এক সাংবাদিকের মোবাইলও নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।"