Published : 20 May 2025, 08:49 PM
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে যুক্ত নতুন ধারা সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ।
নতুন যুক্ত করা ধারাটি স্থগিত এবং পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার সন্ধ্যায় সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সই করা এক বিবৃতিতে উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত ১১ মে ‘সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়, যেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা ‘সত্তার’ কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
সন্ত্রাস প্রতিরোধে ২০০৯ সালে এ আইন করা হয়। তবে সন্ত্রাসে জড়িত ‘সত্তার’ কার্যক্রম নিষিদ্ধে ‘স্পষ্ট’ কোনো বিধানে এতে ছিল না।
অধ্যাদেশ সংশোধনের ফলে সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তাকে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা তালিকাভুক্ত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট সত্তার কার্যক্রমও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে।
অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসের প্রচার নিষিদ্ধ করা হবে তুলে ধরে ওইদিন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এতে বলা হয়, “প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ নং আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোন প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।
“অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে। অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়।”
সম্পাদক পরিষদ ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন: 'সত্তার কার্যক্রম' নিষিদ্ধের বিধান অনুমোদন