Published : 15 May 2025, 01:22 PM
ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য মণিপুরে এক অভিযানে অন্তত ১০ সশস্ত্র বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বুধবার আসাম রাইফেলস ইউনিটের সঙ্গে গোলাগুলিতে তাদের মৃত্যু হয়, কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে এনডিটি।
অভিযান এখনও চলছে, বলছেন কর্মকর্তারা।
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের এ রাজ্যটি কয়েক বছর ধরেই অশান্ত।
কয়েক মাস আগে, গত নভেম্বরেই বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারে আশ্রয় নিয়ে সেখানকার গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা ফের মণিপুরে ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছিল।
১০ সন্ত্রাসীকে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে এমনটাই বলেছে ভারতের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির বেসামরিক শাসকদের উৎখাত করে ক্ষমতা নেওয়ার কিছুকাল পর বিরোধী গোষ্ঠী এবং একাধিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে দেশটির সঙ্গে এক হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে নয়া দিল্লির।
২০২৩ সালের মে থেকে মণিপুরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত এরই মধ্যে আড়াইশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে ৬০ হাজারের বেশি লোককে।
৩২ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ রাজ্যে এই দুই সম্প্রদায় বেশ প্রভাবশালী। এর মধ্যে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মেইতেইদের হাতে, আর পাহাড়ের দখল রয়েছে কুকিদের কাছে।
“ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে চান্ডেল জেলার খেঞ্জয় তহসিলভুক্ত নিউ সামতাল গ্রামের কাছে সশস্ত্র ক্যাডারদের গতিবিধি নিয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্পিয়ার কর্পসের অধীনে থাকা আসাম রাইফেলসের ইউনিট ১৪ মে থেকে অভিযানে নামে।
“অভিযান চলাকালে, বাহিনীকে লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন ক্যাডাররা গুলি চালালে জওয়ানরা স্বল্প সময়ের মধ্যে অবস্থান নিয়ে সংযত ও পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ের মধ্যে ১০ সশস্ত্র ক্যাডারকে নিস্ক্রিয় করা হয় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়,” এক্সে বলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড।