Published : 02 Jun 2025, 05:32 PM
কোভিড পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দার পর ২০২১-২২ সালে বাংলাদেশের বাজেটের আকার ছিল ৬,০৩,৬৮১ কোটি টাকা। পরের বছর ২০২২-২৩ সালে হয়েছিল ৭,৭৮,০৬৮ কোটি টাকা। এরপর থেকে কিঞ্চিৎ কম-বেশি হয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেট পরিধি প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কমে হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ আকারে-আকৃতিতে এবারের বাজেটে বরাদ্দ কিছুটা কমেছে এবং এটিকে গতানুগতিক বললে অতি নিন্দা করা হবে না। যদিও সরকারের দাবি বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়ে করা হয়েছে এবারের বাজেট।
অতিমূল্যায়িত জিডিপি, দুর্বল নিম্নহারের রাজস্ব আয়, অধিকন্তু ঋণনির্ভর বাজেট একই ধারাবাহিকতায় প্রবহমান থাকছে এবারও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে ঐতিহাসিক পটপরিবর্তনের পর এই বাজেটকে ঘিরে বহুবিধ প্রত্যাশা ছিল সব মহলের। এই প্রত্যাশা যথার্থ এবং যৌক্তিক। কেননা, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো রাজনৈতিক দলনির্ভর সরকার না হওয়ায় সরকারের কোনো পিছুটান থাকার কথা নয়, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা এবং মহলবিশেষের সন্তুষ্টির গণিতে প্রভাবিত না হওয়ায় এবারই সম্ভব ছিল বাস্তবমুখী, সংস্কারনির্ভর দরিদ্র ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর তথা দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশের স্বার্থসংরক্ষণকারী কল্যাণমুখী সাশ্রয়ী বাজেট প্রণয়ন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী বাজেটগুলো পর্যালোচনা করে শুদ্ধির ক্ষেত্র ও পরিধি চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছে। সংস্কার লক্ষ্যকে সমুন্নত রেখে কল্যাণমুখী, রাজস্বনির্ভর, ভর্তুকিবর্জিত বাস্তবসম্মত একটা বাজেট প্রণয়ন দেশের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের অবাধ সুযোগ এবং অতি আবশ্যক ক্ষেত্র ও তাগিদ ছিল ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে। তা করা সম্ভব হলে এবারের বাজেট হতে পারত আগামী দিনে নির্বাচিত সরকারের বাজেটে লাগাম পরানোর এবং সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাজেট প্রণয়নের মোক্ষ হাতিয়ার। কিন্তু যতদূর বুঝতে পেরেছি, এবারের বাজেট গতানুগতিকতার বাইরে এবং ভুল নীতিপদ্ধতি পরিহার করে নতুন দিক নির্দেশনার দৃষ্টান্ত হতে পারল না।
রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্যহীনতার ধারাবাহিকতায় গত বাজেটের তুলনায় অনুল্লেখযোগ্য যৎসামান্য কমলেও ঘাটতি আরও ২,২৪,০০০ কোটি টাকা। এই ঘাটতি সংস্থানে বেসরকারি ব্যাংক ঋণের প্রবিধান রাখা হয়েছে ১,৩৮,০০০ কোটি টাকা। অতি দুর্বল, ভীষণ নাজুক এবং চরম তারল্য সংকটে নিমজ্জিত ব্যাংক খাত থেকে এই ঋণের পরিকল্পনা ব্যাংকিং খাত তথা গোটা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও ভ্রান্ত পরিকল্পনা।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাঙ্ক্ষিত গুরুত্ব পায়নি এই বাজেটেও। সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত এবারের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল। সরকারপক্ষ হয়তো বলবে কিছুটা তো বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে কোনো কোনো খাতে। যেমন শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষার বরাদ্দ। প্রকৃতপক্ষে আমূল পরিবর্তনের সুযোগকে গতানুগতিকভাবে একই ব্যর্থতার তীরে বিদ্ধ করা হয়েছে– বরাদ্দের টাকা ব্যয় করতেও সক্ষম নয় জাতীয় অদ্ভুত অক্ষমতার তকমাগুলোর শিকড় চিহ্নিত করে, শুধরে নিয়ে, অর্থ বরাদ্দ এবং যথাযথ ব্যয়নির্বাহ নিশ্চিত করার সুযোগ হাতছাড়া করে– এবারের বাজেটের সবচেয়ে দুর্বল দিকগুলোর একটি এটি।
দরিদ্র মানুষের জন্য কল্যাণমুখী বাজেট না হওয়ার পাশাপাশি কৃষিখাতে ভর্তুকির ভূতুড়ে ছক– যা থেকে কৃষক আদৌ উপকৃত হয় না কখনোই, তা থেকে বের হয়ে এসে ভর্তুকি প্রথার বদলে কৃষকের সরাসরি প্রয়োজনীয় ঋণ পাওয়ার সুবিধা প্রদান এবং তাকে ফসলের ন্যায্য দাম নির্ধারণের স্বাধীনতা প্রদানের মাধ্যমে অনেকটা বাধ্যতামূলক ও কৃষকের স্বার্থবিবেচনা বর্জিত ভর্তুকি মূল্যে ধান বিক্রয়ের চক্র থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীন ও অর্থকরী ফসল ফলানোর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা কৃষকের হাতে তুলে দেবার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এবার। যা করতে পারলে মোট চাষযোগ্য কৃষিজমির ৭৪ শতাংশে ধান চাষের প্রথাবদ্ধ রীতি ভেঙে ফসল ফলনে বৈচিত্র্য আনয়ন এবং কৃষকের স্বাধীনতা-সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারত এবারের বাজেট।
বিপরীতে এই বাজেট ব্যবস্থাও গতানুগতিক সচ্ছল বা উচ্চবিত্ত নগরমুখী মানুষের জন্যই উদার থাকছে। যারা প্রতিবছর মোট প্রদত্ত ব্যাংক ঋণের প্রায় ৯৮ শতাংশ গ্রহণ করে এবং এর ভেতরে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ খেলাপি ঋণের হিসেবে যুক্ত হয়। ২০২৩ সালে মোট ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হয় ৩১,৪৩, ৩৫৫.০৪ মিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে মাত্র ৬৪, ৮৪২ মিলিয়ন টাকা অর্থাৎ মাত্র ২.০৬ শতাংশ ঋণ প্রদান করা হয় কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য।
কোভিড পরবর্তীকালে মন্দার সময় পেরুতে না পেরুতে বৈদেশিক মুদ্রার বিজার্ভে পড়তি ধারা, ব্যাংক ব্যবস্থায় ধ্বস, চরম তারল্য সংকট, বৃহৎ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পট পরিবর্তন– সব মিলিয়ে একের পর এক বিনিয়োগ নিরুৎসাহিতকারী কারণসমূহ যখন জোরালোভাবে বিদ্যমান– তখন দেশে বিনিয়োগ হার ভীতিকর রকমের কম। অথচ এই বিনিয়োগ নিরুৎসাহিতকারী পরিস্থিতিতেও কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের কোনো বিরতি নেই। বরং বরাবরের মতোই মরিয়া হয়ে সচল আছেন এই উদ্যোক্তারা। প্রয়োজন ছিল এই অবহেলিত খাতে ব্যাংক ঋণের সহজ সুযোগ সৃষ্টির আনুকূল্যসমেত একটি বাজেট ব্যবস্থা প্রণয়নের। এসব ইতিবাচক বিবেচনার বাইরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগটুকু এই বাজেটে রহিত করা আবশ্যক ছিল। কেননা এই নীতির সরাসরি ইতিবাচক সুফল দৃশ্যমান বড় কিছু কস্মিনকালেও হয়নি। বরং দুর্নীতির প্রতি পক্ষপাতমূলক এই নীতি পরোক্ষভাবে দুর্নীতির জন্য এক বিশাল প্ররোচনা।
স্বল্পোন্নত দেশের পরিচিতি থেকে বেরিয়ে আসার তকমা গায়ে লাগিয়ে পরিবর্তন আর সংস্কারের উচ্চকিত আলাপের একটা অন্তবর্তীকালীন সময়ে বলা হচ্ছে ২৮ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় প্রবেশ করেছে। এরকম একটা সময়ে এবং ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বিনিয়োগ বান্ধব, কল্যাণমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট প্রণয়নের মধ্য দিয়ে নজির স্থাপনকারী ইতিবাচক ভূমিকা রাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটুকু অবজ্ঞা অবহেলায় ফেলে রেখে দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে গতিশীল হবার দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেবার সুবর্ণ সুযোগ হেলায় অপচয় করে আশাবাদী উন্মুখ সুবিশাল এক জনগোষ্ঠীর প্রতি অন্যায়-অবিচার করা হলো অন্তর্বতীকালীন সরকারের ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে।
সাময়িক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের নাজির রাখলেও দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাজেটে একই ব্যর্থতার প্রতিফলন ঘটছে বলেই জানা গেছে। তদুপরি এটাও সত্য যে জিডিপির মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ রাজস্ব আয় দিয়ে বড় ও অর্থবহ উন্নয়ন ব্যয় সম্ভব নয়। এই প্রতিবন্ধকতাটি সবচেয়ে বড় এবং রূঢ় বাস্তবতা। ঘাটতি অর্থায়নের রীতি থেকে বেরিয়ে এসে বড় প্রকল্প এবং বড় উদ্যোক্তাদের চেয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারিকে প্রাধান্য দেওয়া নীতি, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রকৃত উন্নয়ন অভিমুখী বাজেট আগামীতে ঘাটতিবিহীন উন্নয়ন ও ব্যয় নির্বাহ সক্ষম বাজেট প্রণয়নের পথ সৃষ্টি করতে পারবে।
২০২৫-২৬ সালের বাজেটে ৬০০টির মতো পণ্যের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক তুলে নেওয়া এবং আরও শখানেক পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমানো হচ্ছে। ওষুধ শিল্পের ৭০টির বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত করা হয়েছে। গণপরিবহন ও মাইক্রোবাসের শুল্ক যথাক্রমে ৫ ও ১০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দিচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতায় বিষয়টি উঠে এসেছে। বক্তৃতায় বলা হয়, “আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯ টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২ টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।”
সকল প্রকার আয় এবং নির্দিষ্ট অংকের ব্যয় ও বিনিয়োগের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার আগামী অর্থবছরেও চলতি অর্থবছরের মতোই থাকছে; অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে যে আয় হয়েছে তার ওপর করহার একই থাকবে। তবে আসছে অর্থবছর থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আয়ভিত্তি শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
বিলাসবহুল পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি। এলএনজি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়। ধনীদের আয়কর হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা। এইসব ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি উচ্চাভিলাষী কোনো লক্ষ্যমাত্রা এই বাজেটে নেই। উন্নয়ন বাজেট ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি করা হয়েছে। রাজস্ব বাজেট ২৮ হাজার কোটি বাড়িয়ে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে ৫৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বেতন, ভর্তুকি প্রণোদনা ও ঋণ পরিশোধের জন্য। এজন্য ৮২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা চালু হতে যাচ্ছে– যা সরকারের খরচ আরও বাড়াবে। এদিকে বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হচ্ছে ১৫ শতাংশ অভিন্ন হারে ভ্যাট চালু করা– যার ফলে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত বিশাল জনগোষ্ঠী পরোক্ষভাবে বাড়তি কর চাপের মুখোমুখি হবে। ভ্যাট নিবন্ধনে কর পরিধি বাড়িয়ে বার্ষিক তিন কোটি টাকার স্থলে ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হলেই ভ্যাটের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তবে এটা ইতিবাচক হচ্ছে এটা যে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ০.৮৩ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটির স্থলে ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নতুন বাজেটে।
সব প্রসঙ্গ ছাপিয়ে এবারের বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা প্রসঙ্গ– বৈদেশিক ঋণের ক্রমবর্ধমান চক্র থেকে বেরিয়ে আসার অনুকূল নীতিমালা প্রণয়ন। যদিও বাস্তবে তা কতখানি করে উঠতে পারে সেই কর্মক্ষমতার নজির স্থাপনেই এর সাফল্য নির্ধারিত হবে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছিল। অন্যদিকে ২০০৯ সালে ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ ২০২৩ সালে হয়েছে ৯৯ বিলিয়ন ডলার। তার মানে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৩২২ শতাংশ। বৈদেশিক ঋণ ও স্থানীয় ঋণ দুটোই বিপজ্জনক সীমানা ডিঙিয়েছে আগেই। এগুলো কতটা সামাল দিতে পারবে বাজেট ২০২৫-২৬, তা সামনের দিনগুলোতে জানা যাবে।