Published : 30 May 2025, 03:27 PM
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ করতে পারেন– গত ২২ মে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও তাদের সমমনা বিভিন্ন দলের নেতারা।
ইতোমধ্যে, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ হয়েছে। আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) বলেছে, জুলাই ঐক্য ধরে রাখতে কিছু উপদেষ্টাকে বাদ দিতে হবে। এনসিপিও বলেছে, ড. ইউনূসের সরকারের বিএনপিপন্থী তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। আবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা, তথ্য উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছে বিএনপি। যদিও সবাই স্বপদে রয়েছেন।
এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চসহ তাদের সমমনা দল ও গোষ্ঠীর ব্যাখ্যা জুলাই ঐক্য ভেঙে গেলে ফ্যাসিবাদী হাসিনা আবার ফিরে আসবে এবং ‘দিল্লির কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ হবে বাংলাদেশে।
যাই হোক, জুলাই ঐক্যে ফাটল ধরার কথা খুব বেশি উচ্চারিত হওয়ার দুটি প্রেক্ষাপট আছে। একটি হলো, ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার ব্যাপারে সেনাপ্রধানের অবস্থানের খবর প্রচার। অবশেষে ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনে হতে হবে’– ২৮ মে পল্টনের সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বক্তব্যের পর জুলাই ঐক্য অটুট রয়েছে– এমনটা বলা মুশকিল।
যাই হোক, জুলাই ঐক্য কি এবং তা রক্ষা করা গেলে কে লাভবান হবে সেটি জানা প্রয়োজন।
সহজ কথায়, ২০২৪ সালের জু্লাই মাসে শুরু হওয়া শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের জন্য যেসব ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল, রাজনৈতিক সংগঠন একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সশস্ত্র ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন, হতাহত হয়েছেন, জেলে গেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের একত্র থাকার স্পৃহাকেই ‘জুলাই ঐক্য’ বলা হচ্ছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে এবং তার ‘বিদেশি প্রভু’ ভারতকে কোনভাবেই বাংলাদেশে আর প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না—এটিই জুলাই ঐক্যের মোটাদাগের কথা।
জুলাই ঐক্যের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার, সরকার কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশন, এনসিপি, নাগরিক সমাজের সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি এবং আরও কয়েকটি ইসলামী দল।
তবে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং বিভিন্ন বাম সংগঠনগুলোও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা জুলাই আন্দোলনের ঐক্য বজায় রাখার কথা বলছে। তবে তারা কথায় কথায় সেটি বলছে না। তারা মূলত দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অতি দ্রুত একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে।
জুলাই ঐক্যই হলো এনসিপির মূল রাজনৈতিক সম্পদ, ভবিষ্যৎ। দলটি মনে করে শেখ হাসিনাকে বিতাড়নের কাজটা তারাই করেছে। সারাদেশের মানুষ তাদের কথায় রাস্তায় নেমে এসেছিল। এখানে বিএনপি অথবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো ছিল না। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি বাদে বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে; অন্ধ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের আপামর মানুষ সমর্থন করেছে। এটা ঠিক যে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের একটা বড় অংশই আছেন এনসিপির নেতৃত্বে। কিন্তু এটা মানতে হবে জুলাই অভ্যুত্থানের সব কৃতিত্ব দলগতভাবে কারোর একার নয়। অন্তত অভ্যুত্থানের আগে যে দলটির জন্মই হয়নি, তাদের তো নয়ই।
সে কারণেই জুলাই সনদ ঘোষণা, গ্রহণ এবং সেখানে সব দলকে স্বাক্ষর করার জন্য চাপাচাপি করে যাচ্ছে এনসিপি। তবে এনসিপি নেতাদের ভাষা বেশ আক্রমণাত্মক, যা কোনোভাবেই তাদের জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করছে না।
জুলাই ঐক্যের আলোকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। যা নিয়ে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করে বলেছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনা হয়েছে, যা কোনভাবেই সঠিক হচ্ছে না।
সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির সঙ্গে আকাশ-পাতাল অবস্থানগত পার্থক্য রয়েছে বিএনপির। এটি এনসিপিসহ তার মিত্ররা মানতে পারছে না। যেমন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের দাবিতে চলা অবস্থান ধর্মঘটে অংশ না নেওয়ায় বিএনপির সমালোচনায় মুখর হয়েছে এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামী দল।
আওয়ামী লীগের সব ধরণের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় বিএনপি খুশি হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে প্রধান এই রাজনৈতিক দলটির খুব একটা মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয়নি।
এনসিপি চায় সংস্কার, আওয়ামী লীগের বিচার, বিলম্বিত নির্বাচন– সরকারের পক্ষে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন জুলাই ঐক্যের স্বার্থে সেটি বিএনপিসহ সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। তবে এই কথাটাকে উহ্য রেখে তারা জুলাই ঐক্য ধরে রাখার দোহাইকে সামনে আনছে। বলছে ঐক্য ধরে রাখা যাচ্ছে না। আর জুলাই ঐক্য ধরে রাখতে না পারার জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেননা, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির কর্মসূচিতে শরিক হয়নি বিএনপি।
দেশের সর্ববৃহৎ দল হয়ে বিএনপি কেন এনসিপির একজন নেতার ডাকা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যোগ দেবে? সেখানে যোগ দিলে রাজনৈতিক ফায়দা এনসিপির ঘরে যাবে– সেটি বিএনপি বোঝে।
মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হয় বিষয়ভিত্তিক। কোনো ঐক্যই চিরস্থায়ী নয়। শেখ হাসিনাকে নামাতে সবাই একাট্টা হয়েছিলেন বলেই সংস্কার প্রস্তাবের সব বিষয়ে সবাই একমত হবে— সেটি ভাবা বোকামি অথবা অতি উচ্চাশা।
সবাই এক চিন্তায়, দর্শনে চলবে না। বিভিন্ন বিষয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একটি নিজস্ব অবস্থান থাকে।
যেমন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামসহ কিছু দল ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। বিশেষ করে বামপন্থি দলগুলো মুক্তিযুদ্ধে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেও মুক্তিবাহিনীতে বাম রাজনৈতিক দল থেকে আসা সদস্যের সংখ্যা ছিল অনেক।
কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং ওই বাম সংগঠনগুলোর মধ্যেই বৈরিতা দেখা দেয়। খোদ আওয়ামী লীগের একাংশ গিয়ে জাসদ নামে নতুন দল গঠন করে এবং ব্যাপক সহিংসতায় জড়ায় আওয়ামী লীগেরই সঙ্গে। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায় তখন। তাই বলে ১৯৭১ সালে যারা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা ব্যতীত, অন্য কোন দলই মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেনি।
এনসিপির প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছে না বলেই বিএনপি জুলাই ঐক্যের বিরুদ্ধে সেটি বলা যাবে না। জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের বেকসুর খালাসের বিরোধিতা করছে বলে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বামপন্থি দলগুলোকে আওয়ামী লীগের দোসর বলা যাবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের মিছিলের ওপর হামলার সমর্থন করা চলবে না।
কোন কিছু হলেই, জুলাই ঐক্যের দোহাই দেওয়া চলবে না, যেমনটি আওয়ামী লীগ করত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ যেমন আওয়ামী লীগের একার নয়, জুলাই অভ্যুত্থানও কারোর একার হতে পারে না। অথচ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এনসিপি মনে করছে, এটি তাদের সম্পদ। একটি ঘটনা দিয়ে সেটি বোঝা যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবির বিপরীতে এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী সম্প্রতি বলেছেন, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রয়েছেন ‘ইউনূস সরকারের বৈধতা হিসেবে’। অর্থাৎ দুই ছাত্র উপদেষ্টারা পরিষদে না থাকলে ইউনূস সরকারের বৈধতা থাকবে না।
নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর কথা অনেকটা আওয়ামী লীগের রাজনীতির আরেকটি আদল। আওয়ামী লীগ থাকলে, বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকলে অথবা শেখ হাসিনার ছবি থাকলে অথবা মুক্তিযুদ্ধের (বিশ্বাস করুক আর না করুক) কথা বললে সব কিছুর বৈধতা থাকত। না থাকলে থাকত না।
ঠিক তেমনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং এনসিপির নেতারা না থাকলে কোনো কিছুর বৈধতা থাকে না। এনসিপি নিজেদেরকে বৈধতার প্রতীক মনে করছে, জনগণকে নয়। মনে রাখতে হবে জনগণ বাংলাদেশকে কারোর কাছে কোনো কালেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়নি। জনগণ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্ব মেনেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওই এক আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকায় মানুষ সারাজীবন তাদের সমর্থন করে যাবে।
জনগণ এনসিপিকে সমর্থন করে কি না তা জানতে নির্বাচনে যেতে হবে। অন্য কোনভাবে সেটি পরিমাপ করার কোন উপায় নেই।
মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের একটি মতামতের ভিত্তিতে। আদালতও এই সরকার গঠনের মতামত দিয়েছে জনগণের চাওয়াকে মাথায় রেখে।
ইতোমধ্যে ২৮ মে সভা করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। অন্যদিকে এনসিপি এখনও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদনই করেনি। নিবন্ধন ছাড়া তো ভোটে অংশ নেওয়া যাবে না।
ফিরে আসি মূল কথায়। জুলাই ঐক্য বর্তমান সময়ে নষ্ট হয়নি। নষ্ট হতে শুরু করেছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কিছুদিন পরেই। বলা চলে ঐক্যে ফাটল ধরেছে। তখনও এনসিপি গঠিত হয়নি। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, একটি দলকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আন্দোলন হয়নি। সংস্কার ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আগে নির্বাচন, আওয়ামী লীগের বিচার। তারপর নির্বাচন।
এই মন্তব্যই মূলত জুলাই ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করেছে। ‘আরেকটি দলকে’ বলতে তারা বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করেছে। এটি এক ধরনের স্বীকারোক্তি যে, ভোট হলে বিএনপি জয়ী হবে, এনসিপি নয়।
কিন্তু এনসিপি নেতারা তো ক্ষমতায় থাকতে চান। সেকারণেই এখন নির্বাচন নয়। তারা চান জুলাই ঐক্যের আলোকে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি নতুন সাংবিধানিক কাঠামো হবে যেখানে নাগরিক সমাজের সদস্যরাই হবেন মূল ক্ষমতাবান এবং তাদের সমর্থিত দল হবে এনসিপি। তারা যখন মনে করবেন ক্ষমতায় আসবেন তখনই নির্বাচন হবে।
বিএনপিকে আক্রমণ করে কথা বলা হবে, টার্গেট করা হবে, কাজ করা হবে আর তারা জুলাই ঐক্যের স্বার্থে এনসিপির সব চাওয়া মেনে নেবে রাজনীতির পথে তো এমন কুসুম ছড়ানো থাকে না, কণ্টকও বিছানো থাকে।
রাজনীতিতে টিকে থাকতে চাইলে এনসিপিকেও কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হবে। সত্যিকারের একটি মধ্যপন্থী দল হিসেবে বিকশিত হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে পারবে। কিন্তু এই দলটির কোনো কোনো নেতার কট্টরপন্থা অবলম্বন খোদ বিএনপিকে আতঙ্কিত করছে। বিএনপি খুব বুঝেশুনে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ করে বিষয়টি নিয়ে এগোচ্ছে এবং তারা যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আর বেশি সময় দিতে চায় না তার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে।