Published : 26 May 2025, 12:13 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড পি. ফাইনম্যান গত শতকের পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় একবার ঢাকায় এসেছিলেন। বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) বিজ্ঞান একাডেমিতে তাকে কোয়ান্টাম ইলেকট্রোডাইনামিক্সের ওপর বক্তৃতা দিতে অনুরোধ করা হয়। তিনি অতি কষ্টে অল্পস্বল্প বাংলা শিখে ও দুজন বাঙালি ছাত্রের সহায়তায় সহজ বাংলায় তার বক্তৃতা প্রস্তুত করেন। নির্ধারিত দিনে বিজ্ঞান একাডেমিতে অনুষ্ঠান শুরু হলে দেশের পণ্ডিতগণ ইংরেজিতে বক্তৃতা শুরু করেন। ফাইনম্যান ভড়কে যান, কেননা তিনি প্রস্তুত হয়ে এসেছেন বাংলায় বলার জন্য। যখন তার পালা এলো, তিনি ক্ষমা চাইলেন এই বলে যে, তিনি জানতেনই না এখানকার সরকারি ভাষা ইংরেজি, ফলে তিনি বাংলায় বলার জন্য প্রস্তুত হয়ে এসেছেন। সবার অনুমতি নিয়ে ফাইনম্যান বাংলায় তার বক্তৃতা সারলেন এবং তা সবার প্রশংসা পেলেন। এবার বিজ্ঞান একাডেমির পরবর্তী বক্তারাও তাকে অনুসরণ করে বাংলাতেই বলা শুরু করলেন।
একটা ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে খুবই দুঃখিত। ফাইনম্যানের ঘটনাটি ঢাকার নয়, ব্রাজিলের আর তার প্রদত্ত বক্তৃতার ভাষাটি বাংলা নয়, ছিল পর্তুগিজ। বাকি ঘটনার বর্ণনায় কোনো ভুল নেই। সকালে বাজারে গিয়ে জিনিসপত্রের দাম শুনে মাথা ঘুরে গেছে, যদিও সবজির দাম খুব বেশি নয়, তবু ব্রাজিলকে বাংলাদেশ বলে ভাবার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে গেল। এ ভুলকে আশা করছি সবাই ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন। তবে ফাইনম্যান এখন ঢাকায় এলে এমন একটা ঘটনাই যে ঘটত না এ কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবেন না। ঘটনাটির উল্লেখ আছে ফাইনম্যানেরই আত্মজীবনীমূলক ‘শিওরলি জোকিং মি. ফাইনম্যান’ শীর্ষক বইটিতে (১৯৮৫ সালে প্রকাশিত)।
যাই হোক, বছর দুই পর তিনি আবার যখন ব্রাজিলে গিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান পড়াচ্ছিলেন, ওইসময় সেখানকার শিক্ষা বিশেষ করে বিজ্ঞানশিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে তার খুবই খারাপ ধারণা হয়। যদিও ব্রাজিলের তখনকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে সেটাকে খুব আদর্শ একটা শিক্ষাব্যবস্থা মনে হতো। নিজ দেশের শিক্ষা সম্পর্কে তাদের উচ্চ ধারণার বেলুন ফুটা করে দিয়েছিলেন তৎকালীন স্পষ্টভাষী, সাহসী ও জনপ্রিয় এ মার্কিন বিজ্ঞানী। ব্রাজিলে অধ্যাপনাকাল শেষে বিদায়ের আগে তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে একটি বক্তৃতা করতে রাজি হন এই শর্তে যে, তিনি যা ইচ্ছে তাই বলতে পারবেন। আয়োজকদেরকে এই শর্তে আটকে তিনি সেখানে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন এই বলে— “ব্রাজিলে বিজ্ঞান শিক্ষা বলে কিছু নেই।”
স্বভাবতই হলে উপস্থিত সবাই নড়েচড়ে বসেন, তাদের কাছে এ ধরনের কথাবার্তা পাগলামি ছাড়া কিছু মনে হয়নি। অতএব তিনি শুরু করেন এভাবে, ব্রাজিলে প্রথমে এসে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান শিশুদের বিজ্ঞানে আগ্রহ দেখে। তারা অনেক ছোট্ট বয়সেই বিজ্ঞানের বই কেনা ও পড়া শুরু করে দেয় যা এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের বেলায়ও ঘটে না। তিনি শুরু করেন একটি গল্প দিয়ে।
গল্পটি এরকম: এক গ্রিক পণ্ডিত লক্ষ করেন, গ্রিসের ছেলেমেয়েরা গ্রিক ভাষা পড়তে উৎসাহী নয়। অথচ ভিন্ন একটি দেশে গিয়ে দেখেন সেখানকার সব ছেলেমেয়ে বিদেশি গ্রিক ভাষা কঠোর পরিশ্রম করে শিখছে। তিনি খুব খুশি হয়ে এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলেন, সত্য ও সৌন্দর্যের মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে সক্রেটিসের ধারণা কী? সে কিছুই বলতে পারল না। এবার তিনি শিক্ষার্থীটিকে জিজ্ঞেস করলেন, তৃতীয় সিম্পোজিয়ামে সক্রেটিস প্লেটোকে কী বলেছিলেন। শিক্ষার্থীর চেহারা উজ্জ্বল হয়ে গেল, সে নির্ভুলভাবে সব বলে গেল। অথচ সে যা বলল তাই ছিল সত্য ও সৌন্দর্যের মাঝে সম্পর্ক বিষয়ে সক্রেটিসের বক্তব্য। গ্রিক পণ্ডিত তখন বুঝলেন যে, এই ছেলেমেয়েরা গ্রিক অক্ষর, শব্দ, বাক্য ও প্যারাগ্রাফ শিখছে, কিন্তু জানেই না কোন বিষয় বা কী শিখছে।
এরপর তিনি ব্রাজিলের বিজ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে বলেছিলেন, সেখানে অনেক বিজ্ঞান পড়ানো ও মুখস্থ করানো হলেও কোনো বিজ্ঞান শিক্ষা নেই। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না, এমন এক আত্মতুষ্ট ব্যবস্থায় কীভাবে কেউ কোনো কিছু শিখতে পারবে যেখানে সবাই পরীক্ষা পাশের জন্য পড়ছে আর শিক্ষকরা পরীক্ষা পাশ করা শেখাচ্ছেন, কিন্তু কেউ কিছুই শিখছে না।”
আমাদের এখনকার বাংলাদেশে নিশ্চয়ই এমন একটা ঘটনা কিছুতেই ঘটত না, কেননা এখানকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা জানলে রিচার্ড ফাইনম্যানের বাবাও নিশ্চয়ই ভড়কে যেতেন। তবু এ আলোচনার অবতারণা করলাম কেননা এর মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থারও অনেক নির্মম সত্য লুকিয়ে আছে।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কতখানি ভ্রান্ত নীতির ওপর পরিচালিত হচ্ছে তা বোঝার জন্য পৃথিবীকেন্দ্রিক ও সৌরকেন্দ্রিক মহাজাগতিক ধারণার উদাহরণ টানা যায়। মহাবিশ্ব পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান— টলেমির এ মত কয়েকশ বছর পৃথিবীকে শাসন করেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী কোপার্নিকাস, কেপলার প্রমুখের অনুসন্ধান অনুসরণ করে বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর হাতে ওই মডেল সম্পূর্ণরূপে ধরাশায়ী হয়। সত্য প্রমাণিত হয় সৌরকেন্দ্রিক মডেল। বিজ্ঞানের ও মানুষের চিন্তার জগতে এটি ছিল এক বিরাট বিপ্লব।
আমাদের দেশের শিক্ষাজগতেও এমন একটি বিপ্লব আশু প্রয়োজন— সত্যতা ও গুরুত্বের বিচারে আমাদের জন্য যা একইরূপ মূল্যবান ও সুদূরপ্রসারী। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সত্যিকারের ফলদায়ক হয়ে উঠতে হলে এ আমূল পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। এ পরিবর্তনটি দিকনির্দেশক কাঁটা পশ্চিম থেকে পূর্বে বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে কিংবা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেয়ার সমতুল্য। কেবল ওই কারণেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনকে মহাকাশের টলেমিয় থেকে গ্যালিলিও ধারণায় পরিবর্তনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ভ্রান্ত টলেমিয় নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত বলা হচ্ছে এই কারণে যে, এ ব্যবস্থা সচল আমলাতান্ত্রিক পরীক্ষাব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। পরিবর্তিত গ্যালিলিও শিক্ষাব্যবস্থায় এটি অবশ্যই শিক্ষার্থী-শিক্ষককে কেন্দ্র করে হতে হবে। পরীক্ষা, মুল্যায়ন, নিয়মশৃঙ্খলা, স্কুলঘর, শিক্ষা-উপকরণ, পরিদর্শক, আমলাতন্ত্রিক নিয়ন্ত্রণসহ শিক্ষাব্যবস্থার সবই শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নতুন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিচালিত হতে হবে। শিক্ষার্থীকে নতুন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার এই পুরো দায়িত্বটি পালন করেন প্রধানত শিক্ষক। স্বভাবতই শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থান করেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক— এই দুই সত্তা। তাত্ত্বিকভাবে এটা হওয়াই উচিত, কিন্তু আমাদের দেশে তা সম্পূর্ণ উল্টো।
বাংলাদেশে শিক্ষা নামক শকটের নিচে সবার আগে চাপা পড়ে শিক্ষার্থী আর শিক্ষক। তারা কেবল শকটকে সচল রাখার দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা নামক বিরাট নাক্ষত্রিক জগতের কক্ষপথে কোনোমতে ঝুলে থেকে প্রাণ রক্ষা করে চলেন। সার্থক শিক্ষক হিসেবে পরিচিত হন তিনিই যিনি সারাজীবন গা বাঁচিয়ে চলতে পেরেছেন আর হিসেব করে বলতে পারবেন কতজনকে তিনি শকটের নিচে ফেলে উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছেন। শিক্ষার্থীকে নতুন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা তাদের জন্য অলীক কল্পনা মাত্র। কারও কারও সর্বোচ্চ গর্ব হয়তো কতজনকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা আমলা ইত্যাদি বানাতে পেরেছেন। এরূপ বানাতে গিয়েও তিনি জানেনই না যে, কতজন সম্ভাব্য শিল্পী, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক বা সমাজকর্মীকে তিনি ওই শকটের নিচে ফেলে ট্র্যাজিক সাফল্য ছিনিয়ে নিয়েছেন।
শিক্ষাকে শিক্ষার্থী-শিক্ষককেন্দ্রিক করার কথা বলা যত সহজ, তা বোঝা ও অনুধাবন করা তারচেয়ে অনেক কঠিন আর বাস্তবায়ন আরও কঠিন। তবে অসম্ভব নয় যে তার প্রমাণ উন্নত দেশসমূহের শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের মতো পশ্চাদপদ দেশগুলোতে শিক্ষার্থীকে জড় পদার্থ হিসেবে মনে করা হয়, এখানে শিক্ষা একটি দান প্রক্রিয়া যেখানে শিক্ষক দাতা ও শিক্ষার্থী গ্রহীতা মাত্র এবং শিক্ষক যে কলের চালক শিক্ষার্থী তার কাঁচামাল। শিক্ষা নামের জ্ঞানরস ঢেলে দেয়ার প্রক্রিয়ায় শিক্ষকও জড়পদার্থতুল্য— উভয়ের সম্পর্ক জগ ও মগের। বিদ্যার আলয়ে বসে জ্ঞান নামক রস তরল পদার্থের মতো জগ থেকে মগে ঢেলে দেয়ার জিনিস নয়। তাদের প্রকৃত সম্পর্ক অর্থাৎ যা হওয়া উচিত তা পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মতো— উভয়ে উভয়ের অস্তিত্বের ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
আমাদের দেশে এমন সম্পর্ক গড়ে না উঠবার কারণ মানহীন শিক্ষক। শিক্ষক মানহীন হওয়ার কারণ অনেক, কেবল স্বল্প বেতন নয়। আর মানহীন শিক্ষকও শিক্ষাব্যবস্থাকে টলেমিয় যুগে ফেলে রেখেছেন। মানসম্মত শিক্ষক ছাড়া শিক্ষাকে গ্যালিলিও যুগে উত্তরণ আকাশ কুসুম কল্পনা। শিক্ষা শিক্ষককেন্দ্রিক হলেই কেবল তা শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হবে, আবার একইসঙ্গে উল্টোটাও সত্য।
আমাদের উপনিবেশ-পূর্ব শিক্ষাব্যবস্থা এমনই ছিল। গ্রাম্য সে উঠানের ওপর কিংবা গাছতলার পাঠশালায় শিক্ষকই ছিলেন সর্বেসর্বা। ব্রিটিশ-প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রথম শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে উচ্ছেদ করে বাহিরের কক্ষপথে ছুঁড়ে ফেলে। যা শিক্ষককে করে চাকরি হারানোর ভয়ে সর্বদা কাবু ও শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল থেকে ঝরে পড়ার রীতি। ব্রিটিশ-প্রবর্তিত এই শিক্ষাব্যবস্থার কুফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে রাহমান চৌধুরীর ‘বাংলার চারশো বছরের প্রাথমিক শিক্ষা’ বইতে (শ্রাবণ প্রকাশনী, ২০১৪)।
এই ব্যবস্থায় শিক্ষক ক্রমে হয়ে উঠেছেন মানহীন। এই মানসম্মত শিক্ষকের অভাব বাংলাদেশের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা জুড়ে— একেবারে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত, খোদ স্বঘোষিত প্রাচ্যের অক্সফোর্ডটিসহ। ভালো ও মানসম্মত সত্যিকারের ভালো শিক্ষক যে কেউ নেই তা নয়, কিন্তু যারা আছেন তারা ভগ্নাংশ বা দশমিক পরবর্তী সংখ্যা, তাই মোট হিসেবে না আনলেও চলে। আর যাও বা ভালো শিক্ষক এতকাল ছিলেন এখনকার ক্রমাগত পরিবর্তিত বাণিজ্যমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় ওই সংখ্যাটা প্রতিদিনই কমে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীর চোখে শিক্ষক হারাচ্ছেন শ্রদ্ধা। যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এমনসব অনাকাঙ্ক্ষিত বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটছে যাকে স্পষ্টতই ভালো শিক্ষার্থীর অভাব বলে চিহ্নিত করা যায়। সেটি তো আবার ভালো শিক্ষকের অভাবই প্রমাণ করে। ভালো শিক্ষক না থাকলে ভালো শিক্ষার্থী কোথা থাকে তৈরি হবে? টলেমিয় শিক্ষাব্যবস্থার শেষ পরিণতি এই এবং ভবিষ্যতে তা আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত বহন করছে।
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করতে গেলে মুখস্থ, পরীক্ষা, আমলাতান্ত্রিক শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে উঠে একে প্রকৃত জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে পরিণত করতে হবে যেখানে মনুষ্যত্বের সাধনাই প্রধান, অগাধ টাকা তৈরির মেশিন হওয়া নয়।
শিক্ষা হচ্ছে মানুষের পুনর্জন্ম লাভের মতো ঘটনা। কিন্তু সত্যিকার মানুষ হওয়ার মতো পুনর্জন্ম ঘটাতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের তোতাপাখির মতো শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ট্র্যাজেডি তৈরি কিছুতেই কাম্য নয়। আগে শিক্ষার্থী ও পরে শিক্ষক এবং তাদেরকে কেন্দ্র করেই ঘূর্ণায়মান হতে হবে আমাদের বিশাল শিক্ষাজগতটি।