Published : 12 May 2025, 01:45 PM
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিল প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, “গণমাধ্যমের তথ্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন হলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। প্রজ্ঞাপনটা আসতে দেন। ডেফিনিটলি সাংবিধানিক সংস্থা। আমরাও এটা নিয়ে কনসার্ন। বাট, উই আর ওয়েটিং ফর দি গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।”
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই দলটিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন দেখবেন আকাশে সূর্য উঠে গেছে, তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে, অপেক্ষা করেন।
“আমরা ওই বিষয়ে এখনও গেজেট পাই নি। সরকারের গেজেট আমাদের কাছে এলে তখন বসে (কমিশন সভায়) সিদ্ধান্ত নেব। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।”
কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিইসি বলেন, “প্রাক নির্বাচনি ভিজিটে এসেছে কার্টার সেন্টার, একটা ধারণা নিতে আসছেন, নির্বাচন ইস্যুতে সব বিষয়ের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন।
“দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ ইসির উপরে মোটামুটি সব পক্ষের আস্থা আছে- তারা জানতে পেরেছে, এটা ভালো লেগেছে। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি জানানো হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে তারা আসতে চান। ”
কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তারা শরিফ, মাইকেল বালদাসারো, সাইরাহ জাহেদি, ড্যানিয়েল রিচার্ডস ও কাজী শহীদুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন: সরকারের আদেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপে যাবে ইসি