Published : 09 Jul 2025, 11:33 PM
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের এক বছরের মাথায় রাজনীতির ভিন্ন বাস্তবতায় ভাঙনের মুখে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিদ্রোহী নেতাদের দুই পক্ষই দলকে নিজেদের কব্জায় রাখার মরিয়া চেষ্টায় নেমেছেন।
পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের হাঁটছেন অবাধ্যদের ছেঁটে ফেলার পথে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মহাসচিব মজিবুর রহমান চুন্নুকে ইতোমধ্যে তিনি সব পদ পদবি থেকে ‘অব্যাহতি’ দিয়েছেন।
তাতে এইচএম এরশাদের গড়া এই দলের আরেক দফা ভাঙন অবধারিত হয়ে উঠলেও তার ছোট ভাই জি এম কাদের বহিষ্কারকেই ‘হাতিয়ার’ করেছেন। ভেতরের খবর হল, জ্যেষ্ঠ নেতাদের তালিকা করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে ভিড়লে তাদেরও বহিষ্কার হতে হবে।
জিএম কাদেরের নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলছেন, তাদের চেয়ারম্যান দলের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন, সেই ক্ষমতা তাকে দলের গঠনতন্ত্রে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আনিসুল ইসলাম মাহমুদরা নিয়েছেন ভিন্ন কৌশল। তারা মুখে বলছেন, জাতীয় পার্টি আবার ভাঙুক তারা তা চান না। এতদিনের পার্টি তারা ছাড়বেন না। আর ভেতরে ভেতরে তারা সারা দেশের নেতাকর্মীদের পক্ষে টেনে পার্টি ফোরামে অভ্যুত্থান ঘটাতে চাইছেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “আমরা এখনও পার্টিতে আছি, আমরা এখন জোর দিচ্ছি কাউন্সিল করো, দেখি কী হয়।”
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি এর আগে ছয়বার ভেঙেছে।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনে এরশাদের পতনের পর প্রথমবারের মত ভাঙন ধরে জাতীয় পার্টিতে, ১৯৯৭ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফা ভাঙন হয়।
কাজী জাফর ও শাহ মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে, ২০০১ সালে নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে চতুর্থ দফা এবং ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জাপায় পঞ্চমবারের মত ভাঙ জাতীয় পার্টি।
এরশাদ মারা যাওয়ার পর সবশেষ ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল তার স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ ভাগ হয়ে যায়।
নতুন বাস্তবতা
আওয়ামী লীগের অধীনে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেয় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে। আর এর মধ্য দিয়ে এরশাদের দল সংসদের গৃহপালিত প্রধান বিরোধী দলের তকমা পায়।
গতবছর অগাস্টে আওয়ামী লীগের সরকারপতনের পর জাতীয় পার্টিও বিপদে পড়ে। আওয়ামী লীগের মত জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে অভ্যুত্থানের শরিক কোনো কোনো অংশ।
দলীয় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়ে জাতীয় পার্টি। ঐকমত্য কমিশনের সংলাপেও তাদের ডাকা হয়নি। সব মিলিয়ে রাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়ে জিএম কাদের নেতৃত্বাধীন এ দল।
এদিকে সামনে ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচন। তাতে অংশ নিতে না পারলে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব সংকট তৈরি হবে। সে কারণে জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যের ‘পাপ’ থেকে দলকে মুক্ত করতে এরশাদের ভাই জিএম কাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর উদ্যোগ নিলে জাতীয় পার্টি আবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে।
ওই অংশের চাপে ২৮ জুন চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় সম্মেলন দিন ঠিক করেছিল জাতীয় পার্টি। কিন্তু শেষমেষ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, ওই তারিখে প্রধান উপদেষ্টার কর্মসূচি থাকায় অনুমতি দেওয়া যাবে না। এরপর জিএম কাদের সম্মেলন স্থগিত করে দেন।
কিন্তু জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলা পর্যায়ে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।
বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে যেসব দল গঠিত হয়েছে, তাদের শীর্ষ নেতাদেরও এক মঞ্চে এনে ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তারা। সেজন্য এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাদের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করেন।
পার্টির এ অংশের মধ্যে চালু ধারণা হল, বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনাতে হবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে জিএম কাদেরের ভূমিকা নিয়ে যেহেতু নানা প্রশ্ন রয়েছে, সেজন্য পার্টির ভেতরে যৌথ নেতৃত্ব সৃষ্টি করে পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে। সেজন্য পুরনো ও নিষ্ক্রিয় নেতাদেরকে যুক্ত করতে হবে।
মূলত ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা থেকে জাতীয় পার্টিকে বের করে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজনে জোর দিচ্ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন তালুকদাররা।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সে সময় স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, জিএম কাদের ‘একাই সবকিছু’ করতে চান। এর পরিবর্তন চান তারা।
অন্যদিকে জিএম কাদেরও বুঝতে পারছিলেন, তাকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে দলে। বিরোধীদের সম্মেলনের পাল্টায় নিজের শক্তির জানান দিতে ২৮ জুন দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মহা সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে বসেন জি এম কাদের।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওই অংশটি তখন সম্মেলনের নতুন তারিখের ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই, চেয়ারম্যান যেন অবিলম্বে একগুঁয়েমি ও স্বেচ্ছাচারিতার পথ থেকে সরে এসে দলের প্রতিষ্ঠাতা পল্লিবন্ধুর (এইচ এম এরশাদ) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।”
দুই পক্ষ এক পা করে পিছু হটায় সে সময় দলের কর্মীদের উত্তেজনা কিছুটা কমলেও এক সপ্তাহের মাথায় নতুন পদক্ষেপ নেন জিএম কাদের। সোমবার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মজিবুর রহমান চুন্নুকে তিনি দল থেকে অব্যাহতি দেন।
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই বিদ্রোহী তিন নেতা দাবি করেন, চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত বেআইনি। তারা দল ছাড়ছেন না। কাউন্সিল থেকেই সব সিদ্ধান্ত আসতে হবে।
বহিষ্কারের ‘হুমকি’
চুন্নুর জায়গায় মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়া শামীম পাটোয়ারী বলেছেন, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ‘সঠিক নয়’।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গঠনতন্ত্রের ৩০(১) ধারা মোতাবেক প্রেসিডিয়ামের সাথে আলোচনার ক্রমে দলের চেয়ারম্যান যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র মোতাবেক করা হয়েছে।”
সামনের প্রেসিডিয়াম সভায় সবার সম্মতি থাকলে তাদের অব্যাহতির আদেশ তুলে নেওয়া হতে পারে–এমন কথাও বলেন নতুন মহাসচিব।
তবে বহিষ্কৃত তিনজনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে ‘বর্তমান সরকারের আস্থাভাজন’ আখ্যা দিয়ে বহিষ্কারের হুমকিতে ফেলা হয়েছে বলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
পার্টি চেয়ারম্যানের অনুসারী প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই বুইড়া বেডারা এরা আওয়ামী লীগের দালাল, বিএনপির দালালি করেছে এখন ইউনূসের দালালি করতেছে। এরা দুর্নীতি করছে, এই দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য…। এরা হাতেগোনা পাঁচ ছয়জনই। এখন তারা বাইর (দল ছেড়ে যাবেন) হইয়া যাবে।”
বিদ্রোহীরা তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিল বা অন্য কোনো পথে গেলে কী করবেন– এমন প্রশ্নে লোটন বলেন, “সেদিনও তো ৭২টা সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এসে চেয়ারম্যানকে সমর্থন দিয়ে গেছে। তাদের (বিদ্রোহীদের) কোনো কৌশল জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা খাইব না। যত কথাই বলেন, স্রোতের বাইরে কেউ যাইব না। যত কৌশলই করুক কিচ্ছু হইব না।“
বিদ্রোহীদের কৌশল নিয়ে চেয়ারম্যানের পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “আমরা কতটুকু কৌশলের মধ্যে আছি সেটা বুঝতেছেন না? দিন দিন তো আমাদের কৌশলের প্রতিফলন হইতাছে। এত সহজ? তারা কৌশল করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে যাবে?”
জি এম কাদেরপন্থি এক নেতা বলেন, “আরও প্রায় ১০ জনের বহিষ্কারের চিঠি প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনো সময় তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে।যারা বিরোধিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই কৌশলে কাজ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যাদের বহিষ্কার করার কথা বলছে, তাদের মধ্যে মাসরুর মাওলা ভাই আইসা পড়ছে, গোলাম মাওলা আইসা পড়ছে, ব্যারিস্টার মিলন, সাইফুদ্দিন মিলন আইসা পড়ছে।”
অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে ওই নেতা বলেন, “ওরা বাদ, দুষ্টু গোয়ালের চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। এখন তো তারা ড. ইউনূসের দালালি করার জন্য প্রেশার দিতাসে।”
ক্যু?
জাতীয় পার্টিতে কাউন্সিলের দাবি নিয়ে যে বিরোধী বলয় তৈরি হয়েছে, তার নেতৃত্বে থাকা অন্তত চারজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের কৌশলের আভাস পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আমরা তো তাদের সাথেই আছি, আমরা কি বলেছি যে আমরা জাতীয় পার্টির সাথে নেই? আমরা আছি।আমরা বলছি, জাতীয় পার্টির সাথে আছি, কাউন্সিল করো।”
এই বলয়ের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের একটি বড় অংশ জি এম কাদেরকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে অনেক কিছু হতে পারে। এটা দেখার জন্য আপনাকে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে সেটা একান্তই গোপনীয়, সেটা বলা যাবে না।
“আমরা এবং এই দেশের বহু মানুষ জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসে। সেখানে এই পার্টি আমরা ছাড়তে পারি না।পার্টি এভাবে চলতে পারে না। পার্টিতে একটা আমূল পরিবর্তন এলে আবার জেগে উঠবে।আমরা চেষ্টায় আছি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই পার্টি থেকেই নির্বাচনে অংশ নেব।নির্বাচনে আমাদের দলের নেতৃত্ব হয়ত অন্য কেউ দেবে।”
কৌশলের অংশ হিসেবে গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে স্মরণসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্রোহীদের অংশটি। জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত ও দলত্যাগী নেতাদেরও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
দলটির দুই-তৃতীয়াংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগরের অধিকাংশ নেতাই এ অংশের সঙ্গে আছেন বলে তাদের দাবি।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে জি এম কাদেরকে ত্যাগ করা ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ অন্য নেতারাও তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলে শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।
এই কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় পার্টির সদ্য সাবেক মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বড় ধরনের একটা শোকের অনুষ্ঠান স্মরণ সভা করব। সেখানে ঢাকার নেতাকর্মীরা থাকবে।”
এই ‘শক্তি প্রদর্শনের’ অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এই দিন ঘিরে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই, এটাতো মিলাদ মহফিল।”
আলাদাভাবে প্রেসিডিয়াম সভা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা এখন না, পরে হবে।”
বহিষ্কারের হুমকি পেয়ে অনেকেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি করছে অন্য পক্ষ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চুন্নু বলেন, “কেউ যাবে না, যারা জাতীয় পার্টিতে দীর্ঘদিন ধরে আছে, তাদের বেশিরভাগ তো আমাদের কথা শুনছেন।”