Published : 04 Jan 2025, 07:44 PM
শ্রমিকনেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা সহিদুল্লাহ চৌধুরীকে তার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকার ডেমরায় পারিবারিক কবরস্থানে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন হয়।
বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় গত শুক্রবার দুপুরে ডেমরায় নিজ বাসভবনে প্রবীণ এই রাজনীতিকের মৃত্যু হয় বলে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শনিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ও সিপিবির সাবেক সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন দল সিপিবির সাবেক এই সভাপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সহিদুল্লাহর মরদেহ নেওয়া হয় ডেমরার বাসভবনে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে সহিদুল্লাহ চৌধুরীকে দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে।
পেশাগত জীবনে ঢাকার ডেমরার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলে সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করা সহিদুল্লাহ চৌধুরী শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতেও সক্রিয় ছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের পর সিপিবির সভাপতি হন তিনি। ১৯৯৩ সালের জুনের বিশেষ কংগ্রেসে তাকে সভাপতি ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন পরে ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
শুক্রবার সিপিবির এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের কিংবদন্তী সহিদুল্লাহ চৌধুরী দেশের শ্রমিক আন্দোলনে; বিশেষ করে পাটকল শ্রমিক আন্দোলনে কয়েক দশক ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
“শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার ও মুক্তির সংগ্রামে আজীবন তিনি লড়াকু ভূমিকা পালন করেন। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও আছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।”