Published : 05 Sep 2022, 07:50 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতত্বে চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহায়তার জন্য বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেস সদস্য জুডি চু।
স্থানীয় সময় শনিবার লস অ্যাঞ্জেলস সিটিতে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশি সংগঠনদের জোট ফোবানার কনভেনশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ক্যালিফোর্নিয়া-২৭ থেকে নির্বাচিত জুডি চু বলেন, "বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতত্বে চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহায়তার জন্যে বাইডেন প্রশাসনের সাথে কাজ করছি। এ অভিপ্রায়ে আমি কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের সাথেও থাকার অঙ্গিকার করছি।"
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বাংলাদেশ ককাসের পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা দিতে পারেন দুই পার্টির বেশ কয়েক জন কংগ্রেসম্যান। জুডি চু তাদের অন্যতম বলেও জানা গেছে।
এশিয়ান-আমেরিকান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ককাসের চেয়ার এবং কংগ্রেসের বাজেট কমিটির অন্যতম সদস্য জুডি চু আরও বলেন, “২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনীর দিনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আমি আমার কংগ্রেসনাল ডিিিস্ট্রক্টে দিবসটিকে স্মরণীয় করে রেখেছি। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অর্থ-সহায়তা পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সময়েও আমরা সেই ধারা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছি এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের উদারনীতি আরও প্রসারিত করার জন্য ইতিমধ্যে নানা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
বক্তব্যের পর কম্যুনিটির সার্বিক মঙ্গলে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্যে ফোবানা প্রদত্ত বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তিনি হস্তান্তর করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়াকে।
সম্মাননা তুলে দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আর্ত-মানবতার সেবায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে। সেই বাংলাদেশের একজন হিসেবে আব্দুল কাদের মিয়াকে সম্মাননা ক্রেস্ট দিতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিতবোধ করছি।”
এ সময় জুডি চু এর পাশে ছিলেন ফোবানার চেয়ারপার্সন আতিকুর রহমান, সাবেক চেয়ারপার্সন বেদারুল ইসলাম বাবলা এবং জাকারিয়া চৌধুরী। আরও ছিলেন ফোবানার হোস্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট জাহিদ হোসেন পিন্টু, প্রধান সমন্বয়কারী কাজী মশহুরুল হুদা এবং সদস্য-সচিব সাঈদ এম হোসেন।
কংগ্রেস সদস্য চলে যাওয়ার পর ‘জয় বাংলা জাগলেই জয় হয় আমাদের’ শীর্ষক গীতি-আলেখ্য পরিবেশন করেন ‘বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা’র শিল্পীরা। এ সময় জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে গোটা মিলনায়তন প্রকম্পিত হয়।
আনোয়ার হক লাভলুর গ্রন্থনায় এই গীতি-আলেখ্যে অংশ নেন সাহিদা শিকদার হাই, দানিয়া সৈয়দ দিয়া, মুনজাবিন হাই, লুসি হাসান, সৈয়দ শাকিল হক, আরাফ হাসান, মুনতাহ, ওয়াদুদ, ধ্রুব, আরহান প্রমুখ। দেশবরেণ্য নজরুল গবেষক ও কণ্ঠশিল্পী লীনা তাপসি খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা-কণ্ঠশিল্পী তাজুল ইমাম, শাহ মাহবুব পুরো অডিটরিয়ামকে মাতিয়ে রেখেছিলেন।