Published : 11 Jun 2025, 07:26 PM
মুন্সীগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে লংমার্চ হয়েছে।
বুধবার সকালে পোস্তগোলা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়ে শ্রীনগর, সিরাজদিখান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ঘুরে বিকালে তা মুন্সীগঞ্জ এসে শেষ হয়।
ছয় উপজেলার মুন্সীগঞ্জ জেলায় ২০০১ সালের সীমানা অনুযায়ী চারটি সংসদীয় আসন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ সময় প্রচারপত্রও বিলি করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলার চারটি আসন বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে সদস্যসচিব বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে এই লংমার্চ হয়। বুড়িগঙ্গা-১ নম্বর সেতু থেকে শুরু হয়ে শ্রীনগরের ছনবাড়ি, কুন্ডের বাজার ব্রিজ, বেতকা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠে পথসভা হয়।
পরে আলদীবাজার, দিঘিরপার বাজার ও হাসাইল হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হয়।
মহসিন মিয়া বলেন, ৬৮টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিশাল এই জেলায় আগে শ্রীনগর-সিরাজদিখান সংসদীয় আসন-১, লৌহজং-সিরাজিখান সংসদীয় আসন-২, টঙ্গীবাড়ি-মুন্সীগঞ্জ সদর সংসদীয় আসন-৩ এবং গজারিয়া ও মুন্সীগঞ্জ সদর সদরের বাকি অংশ নিয়ে সংসদীয় আসন-৪ বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিনটি সংসদীয় আসন করে।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রাণের দাবি, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই চারটি সংসদীয় আসন পূর্ণবহাল করতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।”
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হোসেন রেনু, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আসিক, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির নির্বাহী সদস্য মাহবুব আলম বাচ্চু, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, ঢাকা বারের আইনজীবী আক্তার হোসেন সোহেল, প্রজন্ম বিক্রমপুরের কো-অর্ডিনেটর বলরাম বাহাদুর, কামারখাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন হাওলাদার, সালাউদ্দিন মিয়া, কাজী স্বপন ও ডা. আব্দুল আলিম।