Published : 21 May 2025, 08:21 PM
নীলফামারী সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন পরিবারের আরেক সদস্য।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার চাপড়াসরমজানি ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইটাপির ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার পরিদর্শক এম আর সাঈদ জানান।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সোলাইমান বাবু (৭০) এবং তার পুত্রবধূ শাবানা বেগম (৩৫)।
সোলাইমানের স্ত্রী ওয়াতুননেসা (৬০) গুরুতর আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চাপড়াসরমজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শাহ্ ফকির বলেন, সম্প্রতি ঝড়-বৃষ্টিতে সোলাইমান বাবুর বসতবাড়ি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকাল থেকে স্ত্রী ও পুত্রবধূকে নিয়ে বসতবাড়ি মেরামতের কাজ করছিলেন সোলাইমান।
এ সময় বসতঘরে বাঁশের খুঁটি লাগাতে গিয়ে সেটি বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে। তখন বৈদ্যুতিক তারটি ছিঁড়ে টিনের বেড়ার উপর পড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোলাইমান কাঁপতে থাকেন।
তাকে বাঁচাতে গিয়ে পুত্রবধূ শাবানাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পাড়ে যান। পাশের থাকা ওয়াতুননেসা চিৎকার দিয়ে তাদের স্পর্শ করলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হয়ে যান।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তার আগেই সোলেমান ও তার পুত্রবধূ শাবানা মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়াতুননেসাকে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক এম আর সাঈদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।