Published : 21 Apr 2025, 08:54 PM
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এসএসসির গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্রের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে একদল পরীক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ভাঙচুর ও বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহের হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীরা আমার বিদ্যালয়ের বেশকিছু চেয়ার-টেবিল ও গ্লাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। পরে লিখিতভাবে জানানো হবে।”
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সোমবার সকাল ১০টার থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসির গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
হলে কঠোর নজরদারি থাকার কথা জানিয়ে পরীক্ষা শেষে উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়।
পরে পরীক্ষার্থীরা বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু ও উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটক ভাঙচুর শুরু করে। এসময় কেন্দ্র সচিবসহ শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি কর্মকর্তারা সারাক্ষণ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত নজরধারী রাখায় পরীক্ষার্থীরা মানসিক চাপে পড়ে। এতে তাদের গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হাজীগঞ্জ-৬ এর কেন্দ্র সচিব ও রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন সরকার বলেন, রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মৈশাইদ, বোরখাল উচ্চ বিদ্যালয় ও আল-বান্না মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে পরীক্ষা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “আজকে নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ ২৫৪ জন শিক্ষার্থী গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হৈ-হুল্লূড় শুরু করে।”
হাজীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, “যেহেতু পরীক্ষা চলমান এবং পরীক্ষার্থীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই অভিভাবকদের জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রসচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”