Published : 19 Jun 2025, 09:21 PM
সিলেটের জকিগঞ্জে মায়ের কোলে চড়ে মামার বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে যায় তিন মাসের শিশু মুরসালিন। নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল শিশুটির প্রাণ। এতে বিয়ের আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে।
বুধবার বিকালে মাইক্রো বাসে করে নববধূ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে টমটমের সঙ্গে বাহনটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান।
স্থানীয়দের বরাত পুলিশ জানায়, বুধবার উপজেলার সোনাসারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মানিকপুর ইউপির বাল্লাহ গ্রামের আবুল কালামের সঙ্গে কাজলসার ইউপির কড়ইমুড়া গ্রামের রোজিনা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। আবুল কালাম নিহত শিশু মুরসালিনের আপন মামা।
সেখান থেকে মাইক্রোবাসে নতুন বউকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একটি বাস বরযাত্রীবাহী গাড়িটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় চালক গাড়ির ব্রেক চাপেন। এরপরই মাইক্রোবাসটি একটি টমটমকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই টমটম চালক শাহাবুদ্দীন (৪৮) প্রাণ হারান। আহত হন বরযাত্রীবাহী গাড়িতে থাকা পুরুষ-নারী-শিশুসহ ১০ জন। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থান বৃহস্পতিবার সকালে শিশু আব্দুল্লাহ আল মুরসালিন মারা যায়।
নিহত মুরসালিন উপজেলার শাহজালালপুর গ্রামের ছাব্বির আহমদ ও সালমা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুটির গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের শাহজালালপুর-পুরকায়স্থ বাড়ির সামনে জানাজা শেষে তার দাফন হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতের মধ্যে বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চারজন ভর্তি রয়েছেন।
শিশু মুরসালিনের আরেক মামা ফখরুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনার আমাদের বিয়ের আনন্দ কান্নায় রূপ নিয়েছে। মেডিকেল থেকে মুরসালিনের লাশ নিয়ে আসার পর বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে; আমাদের বিয়ে বাড়িতে চলে আহাজারি। আশপাশের এলাকার লোকজনও এসে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।’’
জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, “এ ঘটনায় কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। নিহতদের পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’