Published : 26 May 2025, 11:32 PM
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জেলাভিত্তিক সংগঠনের নতুন কমিটি গঠনের পর পদ-পদবি নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাকিল হাওলাদার, একই বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মোবাশ্বির হাসান এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সোহান শাহ।
শাকিল ও মোবাশ্বির বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে সোহান শাহ কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি প্রকাশিত হলে সহসভাপতির পদে দায়িত্ব পান সোহান শাহ। কমিটিতে পদ নিয়ে মোবাশ্বির হাসানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
পরে সোহানের কয়েকজন সহপাঠী এবং মোবাশ্বিরের বিভাগের কয়েকজন জুনিয়রের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তারা।
পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
সোহান শাহ বলেন, “কমিটি গঠন নিয়ে মোবাশ্বিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। আমি অভিযোগ করি, তিনি ছাত্রলীগের রানিং ছেলেদের দিয়ে কমিটি করেছেন। একপর্যায়ে তিনি ও শাকিলসহ প্রায় ২০-২৫ জন আমার ওপর হামলা চালান।”
অন্যদিকে মোবাশ্বির হাসানের দাবি, “সোহান রুমে এসে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি আত্মরক্ষায় আমার বিভাগের কয়েকজন জুনিয়রের সহায়তা নেই।”
সংঘর্ষের সময় উপস্থিত অ্যাসোসিয়েশনের আরেক সদস্য মোস্তাক আহমদ বলেন, “আমি মোবাশ্বির ভাইয়ের রুমে গেলে দেখি উত্তেজনা চলছে। পরে সোহান আমাদের ওপর ইট নিক্ষেপ করে। এতে শাকিল ভাইয়ের হাত থেতলে যায়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক বেলাল শিকদার বলেন, “আহতদের চিকিৎসার জন্য আমরা সঙ্গে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে এই বিষয়টির সমাধান করবে।”
এদিকে, ঘটনার পর জালালাবাদ থানার একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
থানার ওসি কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”