Published : 01 Apr 2025, 11:34 AM
মেহেরপুরে শহরে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও জিপ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার ঈদের দিন দুপুরে শহরের বিএটি তামাক ক্রয়কেন্দ্রের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দিন।
নিহতরা হলেন, মোটরসাইকেল আরোহী আখতারুজ্জামান শোভন, আল ইমরান (৩৫) ও ভ্যানে থাকা শিশু জুবায়ের হোসেন (১০)।
এ সময় ভ্যানচালক আলী হাসান (৪০) ও তার স্ত্রী তকলিমা খাতুন ও জীপ গাড়ির চালক পলাশ আহত হন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহরাব হোসেন বলেন, জিপ গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক হয়ে আমঝুপি থেকে মেহেরপুর শহরের দিক যাচ্ছিল।
“গাড়িটি প্রথমে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দিলে সেটি ছিটকে রাস্তার পাশে ক্ষেতে পড়ে যায়। এরপর বিপরীত দিকে থেকে আসা মোটরসাইকেলকেও মুখোমুখি ধাক্কা দেয় জিপগাড়িটি। পরে দুই গাড়িই মাইলপোস্ট ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে।”
স্বজন ও পরিবারের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে- নিহত শোভন উচ্চশিক্ষা শেষ করে সদ্য একটি ব্যাংকে চাকুরিতে যোগদান করেছিল। তার বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাকা গ্রামে।
তার বন্ধু আল ইমরান ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। তার বাড়ি পাশের গ্রাম উজলপুরে।
দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল অন্য বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবার উদ্দেশ্য নিয়ে।
পরিবার নিয়ে ঈদ পালনের জন্য বের হয়েছিলেন গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের ভ্যানচালক আলী হাসান। স্ত্রী ও ছেলেকে নিজের ভ্যানে নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি।
অন্যদিকে জিপ গাড়িটি ইমপ্যাক্ট নামের একটি ক্লিনিক থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য যাচ্ছিল।
ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং দুইজন ভর্তি আছেন। তবে ঘটনার পর জিপ গাড়িটির চালক পলাশ আহত অবস্থায় গা ঢাকা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএটি তামাক ক্রয়কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ ও দোষী বের করা যাবে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।