Published : 12 Jun 2025, 12:41 AM
হবিগঞ্জের লাখাই থানা থেকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক একজন আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যোনের বাধার মুখে পড়েন। পরে এ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকালে উপজেলার বামৈ পূর্বগ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সদস্যরা বলেন, বিকালে লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম থানা থেকে এক আসামিকে ছাড়াতে যান। এসময় বাধা দেন বামৈ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুক। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে মহিবুর, নাছির, লিটন, জুনাইদ, রুবেল, রুমান, মুজাহিদ, সাইফুল, তাজুল ইসলাম, রিফাত, শাহ আলম, মাইন মিয়াসহ অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন স্থানীয়রা।
আহতদের হবিগঞ্জ সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফকরুল ইসলামের দাবি, লাখাই থানা পুলিশ কাজিমুল নামে এক আসামিকে না পেয়ে তার মা হারুনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। তার মা আসামি না হওয়ায় তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে চেয়ারম্যান ফুরুক তাকে না ছাড়তে চাপ প্রয়োগ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
ফুরুকের অভিযোগ, “লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম থানা থেকে আসমি ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমি এর প্রতিবাদ করি। পরে তার লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়।”
লাখাই থানার ওসি মো. বন্দে আলী বলেন, একজন আসামি ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কথা কাটাকাটি হয়। উভয়পক্ষকে শান্ত করে সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পরে দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, বলেন তিনি।