Published : 28 May 2025, 01:04 PM
লালমনিরহাটের তিন উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অন্তত ৩৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়রা।
বুধবার ভোরের দিকে কাটাঁতারের বেড়ার গেট খুলে এই মানুষদের ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির বাঁধার মুখে তারা বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারেনি।
এসব লোকজন এখন ভারতের অংশে, খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
এর মধ্যে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চওড়াটারি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন, হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে ৬ জন এবং পাটগ্রাম উপজেলার আমবাড়ি, পঁচা ভান্ডার ও ধবলগুড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করে বিএসএফ।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি ইমাম বলেন, “দূর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ভোর ৫টার দিকে ১৩ জনকে পুশইনের চেষ্টা করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করি।”
তিস্তা ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মুজাহিদ মাসুম বলেন, “পাটগ্রামের একাধিক সীমান্ত দিয়ে পুশইন চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। তবে বিজিবির তৎপরতায় কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেওয়া হয়নি।”
বনচৌকি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার লুৎফর রহমান বলেন, “দুজন নারী ও চারজন পুরুষকে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে বিএসএফ, কিন্তু আমরা এতে বাধা দিই।”
বিজিবি কর্মকর্তারা বলেন, যাদের পাঠানো হচ্ছিল তারা ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজিবি কর্মকর্তারা আর জানান, পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেজন্য স্থানীয় গ্রামবাসীরাও সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে একত্রে পাহারা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।