Published : 18 Jun 2025, 03:33 PM
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা থেকে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর একটি মৎস্য খামারের পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের বটতলা মৃধাবাড়ি এলাকায় পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ পাওয়া যায় বলে জানান শ্রীবরদী থানার ওসি মো. আনোয়ার জাহিদ।
নিহতদের একজন ওই এলাকার রাজমিস্ত্রী মো. সেলিম মিয়ার ৭ বছরের মেয়ে সকাল আক্তার এবং অপনজন অটোরিকশা চালক স্বপন মিয়ার ৬ বছরের মেয়ে স্বপ্না খাতুন। তারা স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে ওই দুই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি পোস্ট করে সন্ধান চাওয়া হয়। এ ছাড়া এলাকায় মাইকিংও করা হয়।
সকাল ৭টার দিকে একটি মৎস্য খামারে ওই শিশুর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেনের জমিতে থাকা পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন মোস্তফা মিয়া।
স্থানীয়রা দুই শিশুর মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। এই পুকুরে মাসখানেক আগেও রহস্যজনকভাবে একজন মারা যায়। যে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে শিশুর গোসল করার মতো পরিবেশ নেই। এ ছাড়া দুই শিশুকে বস্ত্রহীন অবস্থায় যাওয়া যায়। তাদের পোশাক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সকাল আক্তারের মামা মো. সাগর মিয়া বলেন, “সকালের মা ওই এলাকায় ব্র্যাক সেন্টারে হস্তশিল্পের কাজ করেন। সেই কারণে সে তার মায়ের কাছে যেতে পারে। এ সময় সকাল ওই পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যেতে পারে।”
স্বপ্নার বাবা স্বপন মিয়া বলেন, “গতকাল ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময় থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আর ঢাকায় যাইনি। এরপর থেকে খোঁজাখুঁজি করছি। মাইকিং করছি। সকালে মেয়ের লাশ পেলাম। কীভাবে কী হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না।”
দুই শিশুর লাশ দেখে পানিতে ডুবে মৃত্যু বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাচ্চা দুটির পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না। গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনাটি বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা চলমান আছে।”