Published : 01 Jun 2025, 12:07 AM
বরিশাল নগরীতে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে।
শনিবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে সেখানে ভাঙচুর হওয়ার কথা বলছেন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল।
তিনি বলেন, কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এর আগে বিকালে তাদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা হয়। দুটি ঘটনায় মামলা করা হবে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও আলমারি তচনচ করা হয়েছে। দলীয় ব্যানার ও সাইনবোর্ডও ভাঙা।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “ভাঙচুর হয়েছে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এর আগে বিকালে নিজেদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা হওয়ার অভিযোগ তোলেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
রংপুরে দলের চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে এ মিছিল বের করেন তারা।
হামলার পর মহসিন উল ইসলাম হাবুল সংবাদমাধ্যমে বলেন, “চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ফকিরবাড়ি রোডে দলীয় কার্যালয়ে প্রথমে প্রতিবাদ সভা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
“মিছিল নিয়ে সদর রোডের প্রবেশ মুখে পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে পেছন থেকে হামলা চালায়। এতে আমিসহ পাঁচজন আহত হয়েছি। তবে নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় একজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে গণঅধিকার পরিষদ।
দলটির বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন বলেন, বিকালে তাদের কিছু নেতাকর্মী নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে ছিলেন। তখন ফ্যাসিস্টের দোসর জাতীয় পার্টি ‘আপত্তিকর’ স্লোগান দেয়।
তিনি বলেন, ‘আপত্তিকর’ স্লোগান দিতে নিষেধ করলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে তাদের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মিরাজকে আটক করে বেধরকভাবে মারধর করে। তাই ফ্যাসিস্টদের নিষিদ্ধের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষয়ে নুরুল আমিন বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার কারণে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। সঠিক কারা করেছে, এখনও জানি না।”
আরও পড়ুন-
বরিশালে জাতীয় পার্টির মিছিলে হামলা, পুলিশ বলছে দুপক্ষের মারামারি
রংপুরে জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা, বৈষম্যবিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ