Published : 25 May 2025, 07:02 PM
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হাতকড়াসহ আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজুকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কমলনগর থানার এএসআই প্রদীপ চন্দ্র শীলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে রোববার দুপুরে একই থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চরকাদিরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর কাদিরা গ্রামের ত্রিকোট চন্দ্র দাস, সনজিৎ চন্দ্র দাস, সেম্ভু চন্দ্র দাস, মো. মিলন, আব্দুর রহিম, নুর আলম, আব্বাস উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন ও ইরা দাস।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাজুকে এএসআই প্রদীপ শনিবার দুপুরে চরঠিকা গ্রাম থেকে আটক করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কয়েকশত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে পুলিশকে ঘেরাও করে। এসময় তারা রাজুর পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
একপর্যায়ে রাজুকে হাতকড়াসহ পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন তারা। কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওসি।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে এএসআই প্রদীপ শীল বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
রাতেই উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের ভুল বুঝিয়ে জড়ো করে তাকে গ্রেপ্তারে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন রাজু।
তবে এ ঘটনায় তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে কী না তা জানেন না তিনি।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অন্তত তিনজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা রাজুর এক নিকটআত্মীয় পরে হাতকড়াটি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (রামগতি সার্কেল) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান বলেন, “রাজুকে ধরতে অভিযান চলছে।”
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে হাতকড়াসহ 'ছিনিয়ে নিলেন' সমর্থকরা