Published : 03 Jun 2025, 12:11 AM
নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পটুয়াখালী সদর উপজেলায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার পায়রাকুঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় নিজ গাড়িতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপারেশন) মো. সাজেদুল ইসলাম সজল।
উদ্ধার হওয়া মোহাম্মদ সোহাগ (৪৫) নারায়ণগঞ্জ শহরের ‘মিম শরৎ গ্রুপের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচালক বলে জানান।
গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোহাগের স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ হেলিকপ্টারে করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। তার শরীরে ইলেকট্রিক শক ও মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল বলেন, দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহাগকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একটি দল ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার হেলিকপ্টার নিয়ে পটুয়াখালীতে এসে তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।
তিনি বলেন, “গাড়িতে লক অবস্থায় অপহরণকারীরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সোহাগের গাড়ি চালককে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে তার যোগসাজশ থাকতে পারে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীতে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।”
ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, “রোববার রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তুলারাম কলেজ গেইটের সামনে ৫ থেকে ৬ জনের একদল লোক গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় তারা গাড়িতে উঠে আমার হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে মারধরও করা হয়।
“মারধরের এক পর্যায়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রিক শখ দিলে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এরপর দুপুরের দিকে জ্ঞান ফেরার পর পায়রাকুঞ্জের ফেরীঘাটের লোকজনকে আমাকে উদ্ধার করার জন্য ইশারা করি। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।”
ঘটনাস্থল যেহেতু নারায়ণগঞ্জ এবং ওই ব্যবসায়ী একই স্থানের তাই সেখানকার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল।