Published : 11 Jun 2025, 01:16 AM
পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর মাদারীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে চরপ্রসন্নদি গ্রামের বরিশাল গেটওয়ে হোটেলের সামনে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুকসুদপুর উপজেলার চর প্রসন্নদি গ্রামের আজিজুল শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ সাগরকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
হামলায় আহত মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর ইসলাম ও কিরণ আক্তারকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ, আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়া ইসলাম ও মিথিলা ফারজানা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
দিয়া ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পাঁচ জনের পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মৌসুমি ফল বিতরণ করতে তারা শহর থেকে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন।
“ফেরার পথে আমরা একটি রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়ালে মিজান পরিবহনের কয়েকজন আমাদের দেখে কটুক্তি করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে মিজান পরিবহনের গাড়ির স্টাফদের কথা কাটাকাটি হয়।
“এরপর পরিবহনের স্টাফ ও রেস্তোরাঁ কর্মীরা একত্রিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা নারী সদস্যরাও মারধরের শিকার হই। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
মুকসুদপুর উপজেলার সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের বহনকারী পিকআপভ্যানটি বরিশাল গেট হোটেলে বিরতির জন্য থেমেছিল। ভাঙ্গা থেকে বরিশালগামী মিজান পরিবহনের বাসটিও সেখানে বিরতি দিয়েছিল।
“এ সময় মিজান পরিবহনের কর্মীদের মধ্যে কেউ তাদের উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে। এর প্রতিবাদ করতে ওই বাসে ওঠেন কয়েকজন ছাত্র। এরপরেই বাসের কর্মীদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাসের শ্রমিক ও বরিশাল গেট হোটেলের কর্মীরা মিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
“চিৎকার-চেচামেচি শুনে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
এ ঘটনায় মিজান পরিবহনের কারো বক্তব্য জানা যায়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অখিল সরকার বলেন, “দুজনের বেশি আঘাত লেগেছে। অন্যরাও মারধরের শিকার হয়েছেন। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।”
এসআই আলমগীর বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”