Published : 14 Jun 2025, 08:49 PM
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভেতর ডাকা সালিশ শেষে যুবককে মারধরের অভিযোগটি চার দিনেও মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি।
কালকিনির দক্ষিণ কৃষ্ণনগর এলাকার প্রয়াত গণি সরদারের ছেলে শওকত সরদারের অভিযোগ, তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে প্রতিবেশী জামাল সরদার ও তার ভাই কামাল সরদারের।
নিজের দাবি করে বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা পুরনো গাছ সম্প্রতি কাটতে যান শওকত সরদার। এতে বাধা দেন জামাল ও কামাল দুই ভাই। এ নিয়ে অভিযোগ গড়ায় থানায়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দুই পক্ষকে নিয়ে থানার ভেতর পুকুরপাড়ে সালিশে বসে পুলিশ।
শওকত তার অভিযোগে বলেন, দুই পক্ষের কথাবার্তা শুনে ও কাগজপত্র দেখে বিরোধপূর্ণ জমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে পুলিশ ও সালিশকারীরা উঠে যেতে না যেতেই তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। যার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
পরে আহত শওকতকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শওকত সরদার।
ঘটনার চার দিনেও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা। এতে পরিবারটিতে বিরাজ করছে হতাশা।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জামাল সরদার বলেন, “আমাদের পৈত্রিক জমির উপর লাগানো গাছ শওকত তার লোকজন নিয়ে কাটতে গেলে আমরা বাধা দিই। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। থানা পুলিশ তদন্ত করে দোষ পেলে ব্যবস্থা নেবে।
“তবে শওকতের ওপর থানার ভেতর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমি জানি না।”
এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কালকিনি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আমিন।
তিনি বলেন, “একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি এলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”