Published : 23 May 2025, 02:07 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি নারীসহ নয়জনকে মারধর করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নাসিরনগর থানা ওসি খায়রুল আলম।
ডাকাতরা লাশের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মারধর করে অর্ধলক্ষাধিক টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
আহতরা হলেন- গাড়ি চালক মো. ফিরুজ মিয়া, গাড়ির মালিক মো. খলিল মিয়া, মৃতের স্বজন রাসেল মিয়া, ছালেক মিয়া, নাহিদ মিয়া, মো. আলমগীর মিয়া, মো. সালাউদ্দিন, আলেয়া বেগম এবং আলী নেওয়াজ মিয়া। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের ছবদর আলী (৭০) ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে ঢাকা মিরপুর আহসানিয়া ক্যান্সার হসপিটালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাতে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে স্বজনরা বাসায় ফিরছিলেন। পথে ওৎ পেতে থাকা ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে। তারপর গাড়ি ভাঙচুর করে লাশের সঙ্গে থাকা নারীসহ নয়জনকে পিটিয়ে তাদের ১০টি মোবাইল ফোন ও অর্ধলাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা লাশের ওপর দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
ছবদর আলীর ছেলে আলমগীর মিয়া বলেন, “টাকা-পয়সা ও মোবাইল নিছে দুঃখ নাই। কিন্তু আমার মৃত বাবার লাশের ওপর হামলা করেছে ডাকাতরা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”
ওসি খায়রুল আলম বলেন, “যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সে জায়গাটি হাওর এলাকা। আশপাশে বাড়িঘর না থাকায় ডাকাতরা সুযোগটি নিয়েছে। পুলিশের একটি টিম রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে থাকে। এরপর পুলিশের টহল দল এক জায়গায় না থেকে বিভিন্ন জায়গায় টহল দেয়।”
ডাকাতির ঘটনায় কী কী খোয়া গেছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি; তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।