Published : 07 May 2025, 05:10 PM
কক্সবাজার সদর উপজেলার একটি মাছের খামারে জেলে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, মঙ্গলবার রাতে নিহত আলী আকবরের স্ত্রী এলমুন্নাহার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
তারা হলেন- খুরুশকুলের ‘আল্লাওয়ালা হ্যাচারি’র স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর কাসেম, তানভীর কাসেম, রাইয়ান কাসেম, হ্যাচারির কর্মচারী আনোয়ার, হোছাইন ও মিজান।
এর মধ্যে জাহাঙ্গীর কাসেম এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, তার ছেলে রাইয়ান কাশেম নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতা এবং তানভীর কাশেম তার ভাই।
ওসি ইলিয়াস খান বলেন, “৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম, কর্মচারী হোছাইন ও মিজান কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
রোববার রাত ১০টার দিকে ওই মৎস্য ঘেরে আলী আকবরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আলী আকবর খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ার মৃত দানু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার পর রাইয়ান কাশেম দাবি করেছিলেন, তাদের ঘেরে মাছ চুরি করতে এসে ধরা পড়েন আলী আকবর। তিনি নৈশ প্রহরীকে দা দিয়ে আঘাত করেন; তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা লাঠির আঘাতে আকবর মারা যান।
তবে আকবরের পরিবার অভিযোগ করেছে, বাড়ি থেকে ডেকে এনে চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ‘আল্লাহওয়ালা হ্যাচারি’তে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা হ্যাচারির পরিচালক রাইয়ান কাসেমের উপর হামলা করে। এতে রাইয়ান আহত হয় বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল জানান।
পরে পুলিশ রাইয়ানকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় এবং সোমবার সকালে তাদের তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার দুপুরের পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আলী আকবরের মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়নাতদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাবুক্তগীন মাহমুদ শহেল বলেন, “আলী আকবরের মাথায় ও চোখে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। হাত পেছনে বাঁধা ছিল। কিভাবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তার বিস্তারিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসবে।”