Published : 18 Jun 2025, 07:31 PM
এবার সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং এলাকায় এবং কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত অবৈধ পাথর ভাঙার ক্র্যাশার মিলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে জাফলংয়ের ৬৭টি এবং কোম্পানিগঞ্জের ১৭টি পাথর ভাঙার অবৈধ ক্র্যাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা জয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, বিদ্যুৎ ও বনবিভাগ এই অভিযানে সহায়তা করেছে। অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশবিনাশী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে অংশ নেন সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ, পিডিবির প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমেদ, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম ও বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. বিপ্লব হোসেন।
অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন নাহার বলেন, “উপজেলার পাড়ুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭টি ক্র্যাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
শনিবার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা-ইসিএ পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান তাৎক্ষণিকভাবে পাথর ভাঙার ক্র্যাশার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
এরপর সোমবার সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে ৩০টি এবং জৈন্তাপুর এলাকায় পাঁচটি অবৈধ স্টোন ক্র্যাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দ করে টাস্কফোর্স।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ধোপাগুলে ৩৩টি ক্র্যাশার মেশিনের বৈদ্যুতিক মিটার বিচ্ছিন্ন ও জব্দ করা হয়।