Published : 09 Jun 2025, 07:48 PM
টানা ঈদের ছুটিতে রাঙামাটির সব দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের পদচারণা মুখর হয়ে ওঠেছে। প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। এতে চাঙ্গা হচ্ছে পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।
রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো, পলওয়েল পার্ক, রাজবাড়ি, কাপ্তাই লেক, আসাম বস্তি-কাপ্তাই সড়ক, নীলাঞ্জনা রিসোর্ট, রাঙাদ্বীপ, বেরান্ন্য লেক, ইজোর, রান্ন্যেটুগুনসহ জেলার সব মনোমুগ্ধকর জায়গায় পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে আবার কাপ্তাই লেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ভেসে বেড়াচ্ছেন।
ঢাকা থেকে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “প্রথমবার রাঙামাটিতে আসা। এই প্রথম পাহাড় দেখলাম। হ্রদ-পাহাড়ের মিতালী যে এত মুগ্ধকর তা জানা ছিল না। প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর ও স্নিগ্ধ হতে পারে তা এখানে না এলে কেউ বুঝতে পারবে না।”
সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, “আমরা ছয় বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে এসেছি। রাঙামাটির বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরছি। একপাশে পাহাড় আরেক পাশে লেক খুব ভালো লাগতেছে।”
ঝুলন্ত সেতুর টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মচারী মো. সোহেল জানান, সকাল থেকে হাজারের উপরে পর্যটক ঝুলন্ত সেতুতে ভ্রমণ করেছে। ভালো পর্যটক আসতেছে।
পর্যটন নৌ ঘাটের টোল আদায়কারী মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, “ঈদের ছুটিতে রাঙামাটির পর্যটন স্পষ্টগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে। আমাদের বোট চালক ও মালিকরা খুব ব্যস্ত সময় পার করতেছে। দৈনিক ২০-৩০টির মত বোট ভাড়া হচ্ছে। পর্যটকরা বোটে করে কাপ্তাই লেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আজকে থেকে পর্যটকদের ঢল নামা শুরু হয়েছে। আমাদের হোটেল-মোটেলে ৮০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। তবে বুকিং এখনো চলতেছে।
“আশা করছি, বাকি দিনগুলোতে ১০০ শতাংশ বুকিং হয়ে যাবে। ঈদের দুয়েক-দিন পরে প্রতি বছর আমাদের এখানে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে।”
এদিকে, ‘মেঘের রাজ্য’ নামে খ্যাত সাজেক ভ্যালিও এখন পর্যটকে মুখরিত। মেঘ পাহাড়ের মিতালি সৌন্দর্য দেখতে সাজেকে ছুটছেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে বেড়েছে রিসোর্ট কটেজগুলোর আগাম কক্ষ বুকিংও।
সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুর্বণ দেববর্মণ জানান, সাজেকে মোট ৯৮টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। টানা ঈদের ছুটিতে ১০০ শতাংশ রিসোর্ট-কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। সাজেক এখন পর্যটকে ভরপুর। ১৩ তারিখ পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।