Published : 13 Oct 2018, 08:40 PM
জেলার পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুস সালাম জানান, মমিনুল ইসলাম নামে এই শিক্ষার্থীর কপালে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কানে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় ফুলে উঠেছে।
মমিনুল পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া নবীনগর গ্রামের ভ্যানচালক রেজাউল ইসলামের ছেলে। বাউড়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সে।
মমিনুল বলেন, শনিবার স্কুলের শার্ট পরলেও অন্য রঙের প্যান্ট পরে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠান। অফিসে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার কানে চড় মারেন। দ্বিতীয়বার চড় দিলে মমিনুল দেয়ালে ধাক্কা খায়। তার কপাল কেটে রক্ত বের হলে অন্য শিক্ষকরা তাকে হাসপাতালে পাঠান।
মমিনুলের বাবা রেজাউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার আকাশে রোদ না থাকায় মমিনুলের স্কুলের প্যান্ট শুকায়নি। তাই শনিবার সে সাধারণ প্যান্ট পরে স্কুলে যায়।
চিকিৎসক সালাম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পরিবারকে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষক নাম না জানিয়ে বলেন, “ছোট বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের এমন অমানবিক আচরণ কারও কাম্য নয়।”
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মুরাদ হোসেন।
পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, “প্রধান শিক্ষককে তিরস্কার করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”