Published : 09 Jun 2025, 08:49 PM
এ বছরও চামড়ার দাম একেবারেই কম। ছাগলের চামড়া মাত্র ৫০ টাকা এবং গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।
অবশ্য সরকারি সহায়তা পাওয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৯টি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং চামড়া সংরক্ষণ করেছে।
তারা বলছেন, ১৫-২০ দিন কিংবা তারও পরে সন্তোষজনক দাম পেলে তারা চামড়া বিক্রি করবেন। এতে তারা লাভবান হবেন।
যারা কোরবানি দেন তারা তাদের পশুর চামড়া মাদ্রাসা, এতিমখানা কিংবা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে দান করেন। প্রতি বছরই সেই চামড়া কিনে নেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। চামড়া পচনশীল হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এভাবেই চলে আসছিল বছরের পর বছর।
এ বছর এতিমখানা, মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে চামড়া সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য সরকারিভাবে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহও করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক সভায় ১৯টি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং চামড়া সংরক্ষণ করার ইচ্ছা পোষণ করে। ওই ১৯টি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংকে ৩৬ হাজার ৩০০ কেজি লবণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি গ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিন মুফতি আজিজুল্লাহ বলেন, “এ বছরই প্রথম আমরা চামড়া সংরক্ষণ করলাম। আমরা আশা করছি, কিছুদিন পর আমরা ভাল দামে বিক্রি করতে পারব। আমরা সরকারি সহায়তাও পেয়েছি। চামড়া সংরক্ষণের জন্য যে লবণ দরকার তা আমরা সরকারিভাবে পেয়েছি বিনামূল্যে। আমাদের আর কোনো খরচ নেই। বাকিটা পরিশ্রম। এতে যদি কিছু লাভ আসে তাহলেই আমরা খুশি।”
তিনি বলেন, “আমরা এ বছর ১৫০টি গরুর চামড়া ও আনুমানিক ৭০০টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছি।”
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমাইল গ্রামের বদরগঞ্জ হাফিজিয়া মাদ্রাসা এ বছর ১০টি গরু ও ছাগল ৩৭টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছে।
মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য রিমন মণ্ডল বলেন, “এখন বিক্রি করলে যে দাম পাওয়া যাচ্ছিল সংরক্ষণের পর আমরা দাম আরো বেশি পাবো বলে আশা করছি।”
বিসিক জেলা কার্যালয় চুয়াডাঙ্গার উপ-ব্যবস্থাপক এ বি এম আনিসুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য ১ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের দায়িত্বরতরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় ১৯টি প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ করতে ইচ্ছা পোষণ করে। ওই ১৯টি প্রতিষ্ঠান ৮২৪টি গরুর চামড়া এবং পাঁচ হাজার ২৪৮টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছে।