Published : 14 Jun 2025, 07:14 PM
ঢাকার সাভার উপজেলার একটি বাসা থেকে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; যাকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া এলাকার সোলেমান মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম সবুজ।
একই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ওই পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত লতা আক্তার (১৯) ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দিয়ানগর গ্রামের মো. আব্দুস সালামের মেয়ে। তিনি স্বামী সেলিম মিয়াকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
আটকের নাম মাসুদ মিয়া (৪৮)। এ ছাড়া তার সম্পর্কে আর কিছু জানায়নি পুলিশ।
লতার বোন জামাই মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, দুপুরে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে লতাকে অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। লতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, “আমার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে লতার স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছেন।”
পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, “লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়ের দাগ রয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
“তবে হত্যাকাণ্ডের সময় লতার স্বামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না, প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।