Published : 12 May 2025, 06:15 PM
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ দূষণ থেকে রক্ষার তাগিদ জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
তিনি বলেন, “কাপ্তাই হ্রদ আমাদের সম্পদ, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদে ঘুরে বেড়াবেন আর ময়লা ফেলে যাবেন, এটা হতে দেওয়া হবে না। পর্যটকদের নিয়ম মানতে হবে।”
সোমবার সকালে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের আয়োজনে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) মৎস্য অবতরণ ঘাটে কাপ্তাই হ্রদে পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন ফরিদা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলার পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি ব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আল করিমসহ অন্যারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির তথ্যমতে, কাপ্তাই হ্রদে এ বছর প্রায় ৫৬ মেট্রিকটন কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই হ্রদের চারটি অভয়াশ্রমে পর্যায়ক্রমে এসব পোনা ছাড়া হবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধের সময় যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হবে। কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা করে, সেটি বন্ধে জোর দেওয়া হবে।
“এছাড়া মাছ ধরা বন্ধের সময় ভিজিএফের আওতায় চালের পরিমাণ ২০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হবে।”
কাপ্তাই লেকে এক সময় ৮৬ প্রজাতির নানা রকমের মাছ থাকলেও বর্তমানে তা কমে ৬৬ প্রজাতিতে চলে এসেছে বলেও জানান ফরিদা।
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য ব্যবসায়ীসহ জেলেদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।