Published : 19 Jun 2025, 09:56 PM
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজলায় একটি জমির মামলার তদন্ত চলাকালে ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে রাজাপুর থানার ওসি মো. ইসমাঈল হোসেন জানান।
আহত অবস্থায় দৈনিক মানবকণ্ঠের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি এবং রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুলকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছেন জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মাকসুদা আক্তার, ঝুমুর অক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ভাইদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ময়না বেগম নামে এক নারী আদালতে মামলা করেন। আদালত স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
দুপুরে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম তদন্ত করতে আসেন। তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের বক্তব্য শুনছিলেন।
এ সময় সাংবাদিক অহিদ সাইফুল ও ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজ হোসেন দূরে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলেন। অহিদকে ভিডিও করতে দেখে স্থানীয় নাসির হাওলাদারের এক সহযোগী এসে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে ব্যর্থ হলে নাসিরের অপর ১০-১২ সহযোগী এসে প্রথমে কিলঘুষি দেয় এবং পরে লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে।
এ সময় অহিদ সাইফুলকে বাঁচাতে এসে চারজন আহত হন। তারা সাংবাদিক সবুজকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
আহত লাইসা লিয়া বলেন, “অহিদ ভাইকে মারতে দেখে আমি প্রথমে ছুটে আসি। এ সময় হামলাকারীরা আমার গায়ে হাত দেয় ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে।”
সাংবাদিক অহিদ সাইফুল বলেন, “নাসির ও তার লোকজন হামলা করতে পারে এই আশঙ্কা করে দূরে দাঁড়িয়ে তদন্তের ভিডিও করছিলাম। আমি ভিডিও করেছি এই দোষে আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির হাওলাদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অহিদ সাইফুলই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছিলো।”
রাজাপুর থানার ওসি ইসমাঈল হোসেন বলেন, “সাংবাদিককে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”