Published : 17 Jun 2025, 10:07 PM
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় প্রাইভেট কার আটকে মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে। তবে টাকার অংক নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার দোনার জামতলা মোড়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনার ভুক্তভোগী নগদ পরিবেশকের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম প্রথমে বলেছিলেন ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। কিন্তু পরে তিনি পুলিশকে জানান, ৩৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫২ টাকা নিয়েছে ছিনতাইকারীরা।”
পুলিশ রবিউল এবং প্রাইভেট কারের চালক সাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। রবিউলের বাড়ি মনিরামপুরে। তিনি সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামে ভাড়া থাকেন।
মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান বলেন, নগদের যশোর এরিয়া ম্যানেজার রবিউল এবং হিসাব রক্ষক কাজী মোমিনুল ইসলাম ব্যাগে টাকা নিয়ে প্রাইভেট কারে মনিরামপুর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক ওভারটেকিং করে সামনে গিয়ে প্রাইভেট কারটির গতিরোধ করেন।
তারা গাড়ির গ্লাস ভেঙে অস্ত্রের মুখে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবুল বাশার, সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) ইমদাদুল হকসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলেন। এ ঘটনায় রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নগদ যশোর পরিবেশক কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মমিনুর ইসলাম জানান, নগদের পরিবেশক যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন। এর অধীনে সদর, অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন রবিউল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে রবিউল যশোর পরিবেশক কার্যালয় থেকে একটি স্কুলব্যাগে করে টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন মনিরামপুরে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ডিবি ও থানা পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে এদিন দুপুরে যশোর শহরের মুজিব সড়কের আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর ভবনের নিচতলায় যশোর বুক ডিপো নামে নগদ ও বিকাশের ব্যাংকিং এজেন্টের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিষ্ঠান মালিক আলম জানান, কর্মচারী পারভেজ দুপুরে শার্টার নামিয়ে দিয়ে জোহরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে গিয়েছিলেন। নামাজ শেষে দোকানে এসে দেখতে পান ড্রয়ারের তালা ভাঙা। ড্রয়ার ভেঙে প্রায় ২ লাখ টাকা চুরি হছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আবুল হাসনাত খান জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িত সন্দেহে এক যুবককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।