Published : 18 Jun 2025, 09:02 PM
‘গাড়িচালকের পরিকল্পনায়’ যশোরে নগদ পরিবেশকের ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার ১৬ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে বলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার মৃত খোরশেদ আলম মির্জার ছেলে ও প্রাইভেটকারের চালক ইউসুফ আলী সাজু (৩১), ঝিকরগাছা উপজেলার দিগদানা গ্রামের ইসরাইল গাজীর ছেলে রনি গাজী (২৬), রাশেদুল ইসলামের ছেলে সুজন ইসলাম (৩৩), মৃত দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে ইমাদুল গাজী, নাসিম গাজী (১৯), খোষাল নগর গ্রামের মজনুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ও সাগর হোসেন (২৪)।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার সকালে নগদের পরিবেশকের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম একটি প্রাইভেট কারে যশোর থেকে মণিরামপুর যাচ্ছিলেন। এ সময় জামতলা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে গাড়িটির গতিরোধ করে।
যশোরে প্রাইভেট কার আটকে নগদ কর্মকর্তার টাকা ছিনতাই
এরপর তারা প্রাইভেট কারের গ্লাস ভাঙচুর করে রবিউল ইসলামের কাছে থাকা ৩৫ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ভরা একটি স্কুলব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রবিউল ইসলাম জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান। খবর পেয়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে প্রথমে সাগর হোসেনকে (২৪) ঝিকরগাছা উপজেলার খোষালনগর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়। পরে তার তথ্য মতে, আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে সাগর স্বীকার করেছে যে, ওই প্রাইভেট কারের চালক ইউসুফ আলী সাজুর যোগসাজশে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তার ইমদাদুল গাজীর কাছ থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা, সুজন ইসলামের বাড়ি থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া টাকা বহনের স্কুলব্যাগ, একটি ধারালো চাপাতি ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।