Published : 16 Jun 2025, 04:16 PM
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বেশি বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ব্যাংকের এটিএম বুথে ডেকে নিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক আছেন।
রোববার সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।
এ ঘটনায় বিকালে ওই পোশাক শ্রমিকের বাবা থানায় মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
আসামি মো. লিটন উপজেলার আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি ময়মনসিংহের পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। সে মা-বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।
মামলার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা থেকে জানা গেছে, ওই পোশাক শ্রমিক তালহা স্পিনিং মিলের সামনে স্থাপন করা এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার জন্য নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি কারখানায় ছয় হাজার টাকা বেতনে চাকুরি করত।
রোববার সকাল ৬টায় তালহা স্পিনিং মিলে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে ডেকে নেন লিটন। কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন বলে লিটন মেয়েটিকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান।
পরে মেয়েটির বাবা দুইবার চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে লিটন কোনো চিন্তা না করতে বলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে সকাল ১০টার দিকে এটিএম বুথে ভেতরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন লিটন। পরে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে পথে বাবাকে ঘটনাটি জানান মেয়েটি।
এ বিষয়ে কথা বলতে লিটনের নিয়োগকর্তা ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, “ভিকটিমের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”