Published : 13 May 2025, 07:48 PM
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের অপসারণের এক দফা দাবিতে চলমান অনশনের মধ্যে এবার ‘মহাসড়ক ব্লকেট’ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চল অচল কর্মসূচি আওতায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এতে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলার সঙ্গে সড়ক পথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে বরিশাল-পটুয়াখালী ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়কে আটকে পড়েছে কয়েকশ যানবাহন। বর্তমানে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে।
সোমবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংহতি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর দক্ষিণাঞ্চল অচল কর্মসূচির জন্য ‘মহাসড়ক ব্লকেড’ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে ফেইসবুকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ ‘লিংকার্স ইন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়’ এর লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাব দেয় উপাচার্য শুচিতা শরমিন।
তবে উপাচার্যের ফেইসবুক লাইভে আসার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে ওই দিন রাতে পৌনে ৯টায় শিক্ষার্থীরা জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরে রাত ১১টা থেকে অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে অনশনরত পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে চারজনের স্থান পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় নিয়ে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। আর একজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলেও ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেনি শিক্ষার্থীরা। তবে দুপুর ২টার দিকে দাবি আদায়ে আরও দুই ঘণ্টা সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, “উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ২টা পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এমনকি কেউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। আমাদের এই আন্দোলনে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রয়েছে।
“সরকার বা প্রশাসন যদি মনে করে, এই আন্দোলন নস্যাৎ করে দেওয়া হবে। তবে সেই সুযোগ আমরা দেব না। অনশনরত শিক্ষার্থীদের যদি কিছু হয়ে যায়, এর দায়ভার কেউ এড়াতে পারবে না। আমরা চাই না, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটুক।”
১৬ ঘণ্টা অনশন কর্মসূচি পালন ও দুই ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেওয়ার পরও কোনো সাড়া না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ শুরু করা হয়েছে বলে জানান মোশারফ হোসেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ: অনশনে থাকা ৫ শিক্ষার্থী
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে অনশনে শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দক্ষিণবঙ্গ অচলের ঘোষণা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় 'কমপ্লিট শাটডাউন'