Published : 26 Oct 2024, 11:20 PM
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দাবি করা ৭০ হাজার টাকা না পেয়ে এক যুবক তার বাবাকে গলাকেটে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার ছয় দিন পর শুক্রবার গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
২০ অক্টোবর সকালে উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে নিবু মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ৬৫ বছর বয়সি নিবু ওই গ্রামের মৃত সুন্দর আলী মুন্সির ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের এক ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আটকরা হলেন- নিবু মিয়ার ছোট ছেলে সোহেল মিয়া (২৪), তার বন্ধু ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল মিয়া (৩২), কসাই নজরুল ইসলাম (৪৫) এবং রাজমিস্ত্রী সুমন মিয়া (২৬)।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নিজ কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী বলেন, “মামলা দায়ের পর পুলিশের একটি দল অনুসন্ধানে নামে। পরে উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর বাজারের এক হোটেল থেকে বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক বাবুল মিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে এ ঘটনায় জড়িত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়াসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তার সোহেল মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, “এক বছর আগে নিবু মিয়া ২১ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা থেকে ছয় লাখ টাকা দিয়ে সোহেলকে বিদেশে পাঠান তিনি।
“কিন্তু সোহেল বিদেশে থাকতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন। পরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সোহেল। সংসার খরচ চালাতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পুরনো একটি অটোরিকশা কেনেন তিনি।
“কিস্তি দিতে না পেরে সোহেল তার বাবার কাছে জমি বিক্রির আরও ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাবা ও ছেলের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।”
পরে নিবু মিয়ার কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার উদ্দেশে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে জানান পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “১৯ অক্টোবর রাতে নিবু মিয়ার কাছে ফের টাকা চেয়ে না পেয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় আটক বাবুল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।”