Published : 17 Jun 2025, 09:01 PM
ডিবি হেফাজতে শেরপুর জেলা কৃষক দলের সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুর মৃত্যুর ঘটনায় ১৩ বছর পর মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মহন ৩৪ জনের বিরুদ্ধে সদর সিআর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
শুনানি শেষে বিচারক সুলতান মাহমুদ মিলন মামলাটি তদন্তের জন্য জামালপুরের পিবিআই পুলিশ সুপারকে আদেশ দেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজিজ সজীব রানা জানান।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন- শেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান, শেরপুর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) সাবেক ওসি মো. নজরুল ইসলাম, ডিবির সাবেক এসআই মো. জহুরুল ইসলাম, শেরপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নজরুল ইসলাম, ডিবির সাবেক এসআই মো. রিয়াদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফাতেমাতুজহুরা শ্যামলী, মো. আরিফ রেজা, মো. শুভ রেজা, মো. আনোয়ারুল হাসান উৎপল, চন্দন সাহা, তরিকুল ইসলাম রাজু, আমিরুল ইসলাম, শরিফুর রহমান শরিফ, মোহাম্মদ আলী, মো. শহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আব্দুল আলিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আশীষ কুমার সুর, মাসুদ রানা, বেলাল হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম সাইদ, মাহবুবা রহমান শিমু, মনিরুজ্জামান মিলন তালুকদার, মো. আব্দুল হামিদ, শামীম আরা বেগম, হাজী মোশারফ, চানু মিয়া, সেতু দও।
মামলার বরাতে আইনজীবী বলেন, ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাড়ি থেকে আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ৪ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুর নিথর দেহটি তার বাড়িতে রেখে যায় পুলিশ।
বাদী মোকারুল ইসলাম মোহন সাংবাদিকদের বলেন, “বাবাকে পুলিশ পাহারায় জানাজা এবং দাফন করা হয়। তখন আমরা মামলা করতে পারিনি। পুলিশ সবসময় আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাত এবং আমাদের তিন ভাইকে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।”
প্রতিনিধি/সিএস