Published : 02 Jun 2025, 11:32 PM
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন ১০ আসামি।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুজ্জামান আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) ইয়াসিনুল হক দুলাল।
দণ্ড পাওয়া সফিকুল ইসলাম (৪৬) উপজেলার কাজলদিঘী তরঙ্গীপাড়া এলাকার হামেদ আলীর ছেলে।
মামলার বরাতে এপিপি দুলাল বলেন, ঘটনার ১৬ থেকে ১৭ বছর আগে সফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান হয়।
এর মধ্যে সফিকুল প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ হলেও মমতাজের ওপর নির্যাতন চালাতেন সফিকুল।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই রাতে তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। সেই সময় মমতাজকে হত্যার হুমকিও দেন সফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন। ৯ জুলাই ভোরে নিজ ঘরে মমতাজের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বোদা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।
লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর ১১ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন মমতাজের বাবা আব্দুল মান্নান। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মমতাজকে হত্যার আলামত পায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ১১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান এপিপি দুলাল।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ এক আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।