আন্তর্জাতিক ফুটবল
Published : 11 Jun 2025, 06:33 PM
সামনে হ্যাটট্রিকের হাতছানি, কিন্তু ম্যাচের প্রায় ২০ মিনিট বাকি থাকতে মাঠ থেকে তুলে নেওয়ায় সুযোগটি পাননি মেম্ফিস ডিপাই। ম্যাচ শেষে নেদারল্যান্ডস কোচ রোনাল্ড কুমান বললেন, ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে গোলের জন্য ক্ষুধার্ত রাখতেই তাকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি!
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মঙ্গলবার শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা মাল্টাকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নেদারল্যান্ডস।
ম্যাচের প্রথম ১৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে নেদারল্যান্ডসের হয়ে রবিন ফন পার্সির সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন মেম্ফিস। দুজনেরই ৫০ গোল ১০২ ম্যাচে।
কয়েক বছর আগে খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে নাম লেখানো ফন পার্সিকে ছাড়িয়ে যাওয়া মেম্ফিসের জন্য স্রেফ সময়ের ব্যাপার। মাল্টার বিপক্ষে ৭২তম মিনিটে তাকে তুলে না নেওয়া হলে এ দিনই হয়তো রেকর্ডটা নিজের করে নিতে পারতেন তিনি। সেটা নিয়ে যদিও আক্ষেপ তার নেই, বরং খুশি পূর্বসূরির পাশে বসতে পেরে।
“ফন পার্সির রেকর্ড স্পর্শ করেছি, এতে আমি খুশি। অবশ্যই আমি ৫১, ৫২ ও ৫৩ নম্বর গোলও করব। যদি আরও বেশি সময় খেলতাম, তাহলে আজ (মঙ্গলবার) রাতে আরও একটি গোল করতে পারতাম।”
“কোচ আমাকে তাড়াতাড়ি তুলে নিয়েছিলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু বলিনি। বছরের পর বছর ধরে যা করে আসছি, তা করতে পেরেছি... গোল করছি, এগুলো নিয়ে আগে থেকেই খুশি ছিলাম আমি।”
বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের জার্সিতে মেম্ফিসের অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। প্রথম গোলের দেখা পান ২০১৪ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে জাতীয় দলের হয়ে তার পথচলা সবসময় মসৃণ ছিল না।
“বছরের পর বছর ধরে আমাদের কিছু অস্থিরতা ছিল। অনেক কোচ ও অনেক খেলোয়াড় এসেছেন এবং চলে গেছেন। সময় আমাকে গড়ে দিয়েছে এবং আমি কী চাই তা উপলব্ধি করতে পেরেছি।
কুমান ডাচদের দায়িত্বে থাকাকালীন দুই মেয়াদেই মেম্ফিসকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করে গেছেন। এমনকি ক্লাবে ছন্দ হারিয়ে ফেলার পরও তার পাশে ছিলেন কোচ।
মাল্টা ম্যাচের পর অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডকে প্রশংসায় ভাসান কুমান। তাকে তুলে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন একটু মজা করে।
“আমি সবসময় ভেবেছি, মেম্ফিস দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমি মনে করি, অনেক প্রশংসা তার প্রাপ্য। এক বছর তার ইনজুরিতে কেটেছে, তবে সে এখন ফিট ও ক্ষুধার্ত।”
“এটা দারুণ ব্যাপার যে, সে তৃতীয় গোল করতে পারেনি, কারণ সে ক্ষুধার্ত থাকবে।”