স্প্যানিশ ফুটবল
Published : 26 May 2025, 07:10 PM
খেলোয়াড়ী জীবনে রেয়াল মাদ্রিদে পাড়ি দেওয়ার আগে লিভারপুলে আলো ছড়িয়েছিলেন শাবি আলোন্সো, পরে নাম লিখিয়েছিলেন বায়ার্ন মিউনিখে। সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন সবখানেই। কিন্তু তার হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে আছে মাদ্রিদের ক্লাবটিই। সেই ঠিকানায় নতুন পরিচয়ে ফিরতে পেরে আনন্দের শেষ নেই এই স্প্যানিয়ার্ডের।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে সফলতম কোচ কার্লো আনচেলত্তির উত্তরসূরি হয়ে যোগ দিয়ে আলোন্সো দিলেন দারুণ সব অর্জনের প্রতিশ্রুতি। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, রেয়াল মাদ্রিদে ‘নতুন যুগের’ শুরুর কথা।
ইউরোপের সফলতম ক্লাবটিতে পাঁচ মৌসুম খেলে একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে এবং একটি স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিলেন আলোন্সো। সেখানেই রোববার তিন বছরের চুক্তিতে প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেন সাবেক এই মিডফিল্ডার।
কোচিং ক্যারিয়ারে ৪৩ বছর বয়সী আলোন্সোর অভিজ্ঞতা মোটেও আহামরি কিছু নয়। যার উত্তরসূরি হয়ে তিনি এলেন, তার তুলনায় তো অতি সামান্য। তবে, ইতোমধ্যে ডাগআউটে নিজের সামর্থ্যের ছাপ আলোন্সো রেখেছেন।
তার কোচিংয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে বুন্ডেসলিগার ইতিহাসে প্রথম ক্লাব হিসেবে অপরাজিত থেকে শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ে বায়ার লেভারকুজেন। ওই মৌসুমে তারা ঘরে তোলে জার্মান কাপও, উঠেছিল ইউরোপা লিগের ফাইনালে।
গত মৌসুমে জার্মান দলটি গড়ে টানা ৫১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। আর এবার তারা বুন্ডেসলিগায় গড়েছে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি।
তাই আলোন্সোর আত্মবিশ্বাসের কমতি থাকার কথা নয়। রেয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তারই প্রমাণ মিলল।
“নিঃসন্দেহে দিনটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল। এই দিনটি আমার জীবনের পঞ্জিকায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখানে থাকতে পেরে আমি খুব খুশি, আমার কাছে এটা নিজের বাড়ির মতো।”
“মাদ্রিদের সঙ্গে আমার বন্ধন কখনও ছিঁড়বে না এবং ঘণ্টা দেড়েক আগে আমি ভালদেবাবোসে (রেয়ালের অনুশীলন মাঠ) প্রবেশ করা মাত্রই আমার মধ্যে সেই অনুভূতির পুনর্জন্ম হয়েছে। আমার মধ্যে একটা অনুভূতি কাজ করছে যেন, একটা নতুন যুগের শুরু হলো।”
দৃঢ় কণ্ঠে আলোন্সো শোনালেন, এই দলকে নিয়ে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার প্রত্যয়।
“আমাদের দারুণ একটা দল আছে, অসাধারণ সব খেলোয়াড়ে ভরা এবং দারুণ কিছু অর্জনের জোর সম্ভাবনা আছে। অনেক উদ্যম ও প্রেরণা নিয়ে আমার এখানে আসার এটাও একটা কারণ। আমার বিশ্বাস আছে যে, আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্জন করতে পারব, যা রেয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে মানানসই এবং এই ইউরোপিয়ান কাপ।”
চলতি মৌসুমটা অবশ্য একেবারেই ভালো কাটেনি রেয়াল মাদ্রিদের। ইউরোপ সেরার মুকুট ধরে রাখার অভিযানে কোয়ার্টার-ফাইনালের দুই লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেয় তারা। লা লিগায় বার্সেলোনার পেছনে থেকে হয় হয় রানার্সআপ।
কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালসহ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে মোট চারবারের দেখায় প্রতিটিতেই হারের তেতো স্বাদ পেতে হয় দলটিকে। এত এত ব্যর্থতা হয়তো তারকাসৃমদ্ধ দলটির আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা চিড় ধরিয়েছে।
তাই আলোন্সোকে কঠিন চ্যালেঞ্জেই পড়তে হবে। আগামী ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া মাসব্যাপী ক্লাব বিশ্বকাপ হবে তার নতুন অধ্যায়ের প্রথম ধাপ।