Published : 29 May 2025, 07:39 PM
টানা ছয় দিন পর সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা থামল দেশের বড় পুঁজিবাজার— ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
বৃহস্পতিবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ পয়েন্টে, যা আগের দিন ছিল ৪ হাজার ৬১৫ পয়েন্ট।
এর আগে টানা ছয় দিন কমে যায় ১৮৫ পয়েন্ট। সেখান থেকে ২২ পয়েন্ট ‘উদ্ধার’ হল।
সূচকের টানা পতন নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বিএসইসির চেয়ারম্যান, ডিএসই পর্ষদ ও চেয়ারম্যানসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই বলেছে, ‘‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ভবিষ্যতে বাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে ডিবিএ সদস্যরা সুপারিশ দিয়েছেন।’’
সুপারিশগুলো হল, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট টিম গঠন, মার্কেট কমিউনিকেশন স্ট্রাটেজি প্রণয়ন, তারল্য সংকট, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কমানো, পলিসি সাপোর্ট, নগদ উত্তোলনের সুবিধা দেওয়া, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, আইপিও পদ্ধতির সংস্কার (ডিজিটালাইজড) ও মন্দ আইপিও না আনা।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম পর্যালোচনা, বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করা, নতুন বিনিয়োগকারী আনা, ডিএসই মনিটরিং কার্যক্রমে প্রযুক্তি অর্ন্তভুক্ত করা, ‘টি+১’ এবং ‘ডে’ ট্রেডিং চালু করার মত প্রস্তাবও এসেছে।
বাজার গতিশীল করতে সরকারি কোম্পানির তালিকাভুক্তি, প্রান্তিক পর্যায়ে শেয়ার ব্যবসার সম্প্রসারণ, প্রাইমারি মার্কেটকে গতিশীল করা, আইপিও প্রক্রিয়ার সহজ করা, ডিএসই মার্কেটিং কার্যক্রম গতিশীল, জাতীয় বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা সংযোজন করা ও নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধান করার দাবি তোলেন ডিবিএ প্রতিনিধিরা।
ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘নেগেটিভ ইক্যুইটি একটি বড় সমস্যা। বাজারে এখন বিষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাউকে না কাউকে এই বিষ শেষ করতে হবে।’’
বিনিয়োগ ঋণাত্বক হয়ে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানও দৈনিক লেনদেন বাড়াতে পারছে না বলে মন্তব্য তার।
ডিএসই লেনদেন তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার শেয়ার হাতবদল হয় ২৪৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার। আগের দিন ছিল ২৬৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
এদিন ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বাড়ে ২২২টির, কমে ৯৯টির ও আগের দরে লেনদেন হয় ৭৭টির।
মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ (৪৪ কোটি ৫০ লাখ) হয় ব্যাংক খাতে। দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার।
আর খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলো শেয়ার হাতবদল করে ২৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার।
সবচেয়ে বেশি বাড়ে দেশ গার্মেন্টস, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ফান্ড ও সিএপিএম আবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের।
সবচেয়ে বেশি দর হারায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।