Published : 16 Jun 2025, 05:28 PM
প্রায় ৪০ দিন পর ৪০০ কোটির ঘরে লেনদেন দেখল দেশের বড় পুঁজিবাজার— ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
লেনদেন খরায় ভুগতে থাকা এ পুঁজিবাজারে সোমবার সূচকও বেড়েছে; যোগ হয়েছে ৫৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। আগের দিন সূচক ছিল ৪ হাজার ৭২৪ পয়েন্ট।
এর আগে গত ৮ মে মূল্যসূচক এক দিনে বাড়ে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। এরপর বেশির ভাগ দিনই সূচক ছিল নিম্নমুখী। মিশ্রধারায় লেনদেনের মধ্যে সবশেষ তিন দিন উর্ধমূখী রয়েছে পুঁজিবাজার।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ায় এদিন লেনদেনের পরিমাণ ঠেকেছে ৪১৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ ৪০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এর আগে গত ৭ মে ডিএসইতে শেয়ার হাতবদলের পরিমাণ ছিল ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
এর মাঝে ডিএসইতে লেনদেন কোনো দিনই ৪০০ কোটি ছাড়ায়নি। তিনশ কোটির ঘরে লেনদেন ছিল চার দিন। সর্বনিম্ন লেনদেন হয় গত ৪ জুন; ২২৪ কোট ৪৯ লাখ টাকা।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন একক খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বাড়ে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারে। ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং প্রকৌশল ও বীমা কোম্পানির বেশির ভাগ শেয়ারের দামও বেড়েছে এদিন।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে শেয়ার হাতবদল হয় ৬০ কোটি টাকার, যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ৫২ কোটি ১০ লাখ টাকা (১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ)। ওষুধ ও রাসায়ন খাতে হাতবদল হয় ৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার।
এদিন সকালে লেনদেন শুরু হলেই সূচক বাড়তে থাকে। প্রথম আধা ঘণ্টা পর একটু বিরতি দিয়ে ফের বাড়তে থাকলে চূড়ান্ত পর্যায়ে সূচক দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৮৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে আসা ৩৯৯টি কোম্পানির মধ্যে দড় বাড়ে ৩১৫টির (৭৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ)। কমেছে ৩৬টির। আগের দামে লেনদেন হয় ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে যথাক্রমে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, অগ্নি সিস্টেম ও স্টান্ডার্ড ব্যাংক। সবচেয়ে বেশি দর হারায় শ্যামপুর সুগার, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা।