Published : 30 May 2025, 01:33 PM
নতুন করে বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে ইলন মাস্কের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর কোম্পানি নিউরালিংক। এ অর্থ সংগ্রহের পর এখন কোম্পানিটির মূল্য দাঁড়িয়েছে নয়শ কোটি ডলার।
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট সেমাফর প্রতিবেদনে লিখেছে, নতুন এক চুক্তিতে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে নিউরালিংক। এ বিনিয়োগের ভিত্তিতে কোম্পানিটির মূল্য এখন নয়শ কোটি ডলার ধরা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি নিউরালিংক।
রয়টার্স লিখেছে, ২০২৩ সালে ব্যক্তিগতভাবে করা কিছু শেয়ার লেনদেনের ভিত্তিতে ধারণা করা হয়েছিল নিউরালিংকের মূল্য প্রায় পাঁচশ কোটি ডলার। এর আগেও দুইশো ৭৮ কোটি ডলার তুলেছিল কোম্পানিটি। যে পর্বটি পরিচালনা করেছিল পিটার থিয়েলের ‘ফাউন্ডার্স ফান্ড’ নামের এক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান।
এপ্রিল মাসে মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে লিখেছিল, প্রায় ৫০ কোটি ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে নিউরালিংক।
রয়টার্স লিখেছে, বর্তমানে নিজেদের ইমপ্লান্ট নিয়ে পরীক্ষা করছে নিউরালিংক। যার লক্ষ্য হচ্ছে, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া মানুষদের সাহায্য করা।
নিউরালিংক ডিভাইস বসানো প্রথম রোগী বর্তমানে মস্তিষ্কের সাহায্যে ভিডিও গেইম খেলতে, ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিতে ও ল্যাপটপে কার্সর সরাতে পারছেন।
এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এফডিএ থেকে ‘ব্রেকথ্রু’ ট্যাগ পেয়েছে নিউরালিংকের ডিভাইসটি।
কোম্পানিটির প্রযুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। ফলে আরও দ্রুত অনুমোদনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারে এটি।
নিউরালিংক নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন রয়েছে মাস্কের। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এ চিপ এমনভাবে তৈরি করা হবে যেন সাধারণ ও প্রতিবন্ধী উভয় মানুষই কাছাকাছি কোনো ক্লিনিকে গিয়ে খুব দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমে এ ডিভাইস বসাতে পারেন।
মাস্কের অনুমান, এ চিপ দিয়ে ভবিষ্যতে মুটিয়ে যাওয়া, অটিজম, ডিপ্রেশন ও সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক ও শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করা যাবে।
একদিন এ চিপের সাহায্যে মানুষের মস্তিষ্ক দিয়েই ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যাবে, এমনকি টেলিপ্যাথি বা মন থেকে মনে যোগাযোগ করাও সম্ভব হতে পারে বলে দাবি মাস্কের।