Published : 30 May 2025, 03:03 PM
শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও আয় বেড়েছে এনভিডিয়ার। বছরের প্রথম প্রান্তিকে বা তিন মাসে মোটা অংকের আয় করেছে মার্কিন চিপ জায়ান্টটি।
কোম্পানিটির চিপ বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটির প্রধান জেনসেন হুয়াং বলেছেন, “এআই সিস্টেমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্বেই এনভিডিয়ার এআই চিপের চাহিদাও বেড়েছে। ভবিষ্যতে এই চাহিদা আরও দ্রুত বাড়বে।”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটিংয়ের যন্ত্রপাতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মার্কিন এ কোম্পানির বিভিন্ন উন্নত চিপ।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিরই শেয়ার দাম বেড়েছে ও ভালো আয়ও করেছে। এনভিডিয়া হচ্ছে শেষ বড় প্রযুক্তি কোম্পানি যারা নিজেদের আয়ের খবর প্রকাশ করল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এর আগে, এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির অনিশ্চয়তার কারণে এনভিডিয়া’সহ অনেক প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ার দামই অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল।
এপ্রিলে এনভিডিয়ার বিশেষভাবে চীনের জন্য তৈরি করা ‘এইচ২০’ নামের চিপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। এ কারণে সেই চিপের চাহিদা কমে গিয়েছে।
কোম্পানিটি বলেছে, এ নিষেধাজ্ঞার কারণে সাড়ে চারশ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে তাদের। আগে এনভিডিয়ার ধারণা ছিল, এ ক্ষতি সাড়ে পাঁচশ কোটি ডলারেরও বেশি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তাদের আগের ধারণার থেকে ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য নীতির পরিবর্তনও এনভিডিয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড় প্রভাব ফেলেছে।
কোম্পানিটি বলেছে, নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক তাদের সরবরাহ চেইনের জটিলতা ও খরচ বাড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন থাকতে পারে। এ সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নীতিকে ‘ব্যর্থ’ বলে বর্ণনা করেছেন হুয়াং। যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে চিপ রপ্তানীতে বাধা দেওয়া আইনের সমালোচনা করেছেন তিনি।
হুয়াং বলেছেন, এসব আইন উল্টো আমেরিকান বিভিন্ন কোম্পানিরই ক্ষতি করছে।
এদিকে, এনভিডিয়ার প্রধান ডেটা সেন্টার ব্যবসায় বছর ধরে বিক্রি বেড়েছে ৭৩ শতাংশ।