Published : 16 Jun 2025, 04:07 PM
১৩তম মহাকাশ পর্যটন মিশনে কারা ভ্রমণ করতে চলেছেন তাদের নাম প্রকাশ করেছে জেফ বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিন।
ছয়জন যাত্রী নিয়ে পৃথিবীর সাব অরবিটাল বা উপ-কক্ষপথে যাওয়া এ মহাকাশ যাত্রা ব্লু অরিজিনের পশ্চিম টেক্সাসের উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শুরু হবে।
তবে কোম্পানিটি এখনও উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা করেনি বলে প্রদিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানবিষয়ক সাইট স্পেসডটকম।
মিশনটির নাম ‘এনএস-৩৩’। কারণ, এটি ব্লু অরিজিনের পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ও স্বয়ংক্রিয় নিউ শেপার্ড রকেটের ৩৩তম উৎক্ষেপণ। আর এটিই হবে কোম্পানিটির ১৩তম মানব মহাকাশযাত্রা অভিযান।
ব্লু অরিজিনের দেওয়া তথ্য অনুসারে এখানে ‘এনএস-৩৩’ মিশনের ছয়জন যাত্রী হচ্ছেন–
অ্যালি কুহনার
পরিবেশবাদী, অভিযাত্রী ও অনুসন্ধানকারী। পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক অলাভজনক সংগঠক ‘নেচার ইজ ননপার্টিসান’-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কুহনার।
কার্ল কুহনার
অ্যালির স্বামী ও তিনি নিজেও একজন পরিবেশ সংরক্ষণকর্মী। ‘বিল্ডিং অ্যান্ড ল্যান্ড টেকনোলজি’ নামের এক রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তিনি।
ব্লু অরিজিনের মতে, এ কোম্পানিটি “এমন কমিউনিটি ও পরিবেশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ও টেকসইকে উৎসাহিত করে।”
লিল্যান্ড লারসন
একজন সমাজসেবক, বাগানপ্রেমী ও মৌ চাষ করেন লারসান। আগে ‘স্কুল বাস সার্ভিসেস, ইনকর্পোরেটেড’ ও ‘লারসন ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিসেস’ নামের দুটি পারিবারিক মালিকানাধীন ব্যবসায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ফ্রেডি রেসিগনো
তরুণ উদ্যোক্তা। ‘কমোডিটি কেবলস’ নামের তার ও কেবল প্রস্তুতকারক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, প্রেসিডেন্ট ও সিইও রেসিগনো। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া একজন গলফ খেলোয়াড়ও তিনি।
উয়োলাবি স্যালিস
একজন আর্থিক পরামর্শদাতা ও আইনজীবী স্যালিস। ‘ইকুইটোক্র্যাসি’ নামে এক বইও লিখেছেন তিনি।
ব্লু অরিজিন লিখেছে, স্যালিস “দ্য সোল মেকার মিনিস্ট্রি-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, যা মহাবিশ্বের বৈচিত্র্যকে সম্মান করে বৈচিত্র্যবাদ প্রচার করে। তিনি এ মিশনটি উৎসর্গ করছেন বৈষম্য ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন এমন মানুষদের জন্য।”
জিম সিটকিন
তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী ও অভিযাত্রী। বর্তমানে বেসরকারি এক সংগঠনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন সিটকিন। ওই সংগঠনটি মধ্য ইউরোপ ও সাব-সাহারান আফ্রিকার সরকারি এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে কাজ করে থাকে।
ব্লু অরিজিনের ‘নিউ শেফার্ড’ রকেটের বিভিন্ন ফ্লাইট সাধারণত লিফটঅফ থেকে ক্রু ক্যাপসুলের স্পর্শকাতর অবতরণ পর্যন্ত সাধারণত ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় নেয়। নিউ শেফার্ডের প্রথম স্তরের বুস্টারও নিরাপদে ফিরে এসে ভূমিতে অবতরণ করে ও পরে তা আবার ব্যবহৃত হয়।
এ অল্প সময়ের মধ্যে নিউ শেফার্ডের যাত্রীরা কয়েক মিনিটের জন্য ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা পাবেন এবং মহাকাশের অন্ধকার দৃশ্যের মাঝে পৃথিবীর বাঁকানো রেখা দেখা পাবেন তারা।
ব্লু অরিজিনের প্রথম মানব অভিযাত্রা হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে, যেখানে প্রথমবারের মতো অংশ নেন বেজোস ও তার ভাই মার্ক। ‘এনএস-৩৩’ হবে ২০২৫ সালে কোম্পানির চতুর্থ মানব মহাকাশ অভিযান।