Published : 11 Jun 2025, 03:50 PM
জার্মানিতে নতুন সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে মার্কিন চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তি জগতে গুরুস্থানীয় মার্কিন কোম্পানি হিউলেট প্যাকার্ড এইচপি।
মঙ্গলবার এনভিডিয়া ও হিউলেট প্যাকার্ড এন্টারপ্রাইজে বা এইচপিই বলেছে, জার্মানির ‘লাইবনিজ সুপারকম্পিউটিং সেন্টার’-এর সঙ্গে মিলে নতুন এক সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে তারা। এই সুপারকম্পিউটারে ব্যবহৃত হবে এনভিডিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের চিপ।
প্রকল্পের নাম ‘ব্লু লায়ন’ সুপারকম্পিউটার, যা ২০২৭ সালের প্রথম দিকে বিজ্ঞানীদের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে। এটিতে এনভিডিয়ার ‘ভেরা রুবিন’ চিপ ব্যবহারের কথা প্রদিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
জার্মানির হামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত এক সুপারকম্পিউটিং সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানি দুটি।
এর আগে, এনভিডিয়া বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ‘লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাব’ও আগামী বছর তাদের ‘ভেরা রুবিন’ চিপ ব্যবহার করে সুপারকম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা করছে।
আলাদাভাবে এনভিডিয়া বলেছে, তাদের চিপ ব্যবহার করে ‘জুপিটার’ নামের আরেকটি সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে জার্মান জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ফরসচুংজেন্ট্রাম জুলিচ’। বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুতগতির সিস্টেম এটি।
এসব চুক্তি থেকে ইঙ্গিত মেলে, বায়োটেকনোলজি থেকে শুরু করে জলবায়ু গবেষণা পর্যন্ত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সুপারকম্পিউটারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদেরকে এগিয়ে রাখতে চাইছে ইউরোপীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এআই দুনিয়ায় শক্তিশালী হওয়ার অনেক আগে থেকেই এনভিডিয়া বিজ্ঞানীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তাদের চিপ ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তনের মডেল তৈরির মতো বিভিন্ন জটিল হিসাব দ্রুত করা সম্ভব। এ ধরনের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক সূক্ষ্ম গণনার প্রয়োজন হত, যা করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
রয়টার্স লিখেছে, এখন বিজ্ঞানীদের এআই ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করছে এনভিডিয়া। বিভিন্ন এআই সিস্টেম অল্প কিছু হিসাবের ফল ব্যবহার করে এমন অনুমান করতে পারে, যা পুরোপুরি গণনা করা ফলের মতো নির্ভুল না হলেও, অনেক কম সময়ে কার্যকর ফলাফল দিতে পারে।
মঙ্গলবার নিজেদের ‘ক্লাইমেট ইন এ বটল’ নামের এক এআই মডেল উন্মোচন করেছে এনভিডিয়া।
কোম্পানিটির ডেটা সেন্টারের প্রোডাক্ট মার্কেটিং-এর প্রধান ডিওন হ্যারিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিজ্ঞানীরা এই মডেলটিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার মতো কিছু প্রাথমিক তথ্য দিলে ১০ থেকে ৩০ বছর ভবিষ্যতের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করতে পারবে এটি। এর মাধ্যমে পৃথিবীর প্রতি কিলোমিটার এলাকার আবহাওয়া কেমন হতে পারে তা জানা যাবে।
“গবেষকরা ক্লাসিক পদার্থবিজ্ঞান ও এআইয়ের মিলিত পদ্ধতি ব্যবহার করে অ-স্থির বায়ুমণ্ডলীয় প্রবাহের সমস্যা সমাধান করবেন। বিজ্ঞানীদের পক্ষে আগে যা সম্ভব ছিল তার চেয়েও পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করতে তাদের সাহায্য করবে এ কৌশলটি।