Published : 25 Feb 2025, 12:23 PM
ইমেইল সেবার একটি বড় নিরাপত্তা আপডেটের অংশ হিসাবে প্রায় দুইশ কোটি জিমেইল ব্যবহারকারীর জন্য লগইন পদ্ধতিটি পরিবর্তন করতে চলেছে গুগল। এতে বদলে যেতে পারে কোটি কোটি মানুষের ইমেইল অ্যাকাউন্ট।
ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই করতে এসএমএস-এর মাধ্যমে টেক্সট বার্তা পাঠানোর বর্তমান পদ্ধতিটি ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে’ ধারাবাহিকভাবে সব ব্যবহারকারীর জন্য বন্ধ করে দেবে গুগল।
বার্তা পাঠানোর বদলে কোম্পানিটি নতুন এক কিউআর কোড সিস্টেম তৈরি করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
ফোর্বসকে মার্কিন সার্চ জায়ান্টির এক মুখপাত্র বলেছেন, “বিশ্বজুড়ে ব্যাপকহারে এসএমএস-এর অপব্যবহার কমিয়ে আনার” লক্ষ্যে এই পরিবর্তন আনছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করতে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
“আমরা যেমন পাসকির মতো জিনিস ব্যবহার করে পাসওয়ার্ডের অতীত বদলে ফেলতে চাই, ঠিক তেমনই অথেনটিকেশনের জন্য এসএমএস বার্তা পাঠানো থেকেও আমরা সরে আসতে চাইছি,” বলেছেন গুগলের নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি বিষয়ক কর্মকর্তা রস রিচেনড্রফার।
তিনি আরও বলেন, “আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা নতুন করে চিন্তা করব কীভাবে আপনার ফোন নম্বর যাচাই করা যায়। এক্ষেত্রে আপনার নম্বরটি প্রবেশ করানো ও ছয় সংখ্যার কোড পাওয়ার বদলে আপনি একটি কিউআর কোড দেখতে পাবেন, যেটিকে ফোনের ক্যামেরা অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করতে পারবেন।”
বিশ্বজুড়ে প্রায় একশ ৮০ কোটি জিমেইল ব্যবহারকারীর জন্য ‘টু স্টেপ’ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে, যেখানে এসএমএস টেক্সট বার্তা ব্যবহার করে গুগল নিশ্চিত করে যে, ব্যবহারকারী নিজেই সেবাটি ব্যবহার করছেন।
এ পদ্ধতিটি পাসওয়ার্ডের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ হলেও প্রতারকরা এই নিরাপত্তা ফিচারটিকে বাইপাস করার নানা উপায় বের করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
এসব পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিশিংয়ের মাধ্যমে সাইবার হামলা চালানো, যেখানে সাইবার অপরাধীরা গুগল বা তাদের মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানির কেউ বলে পরিচয় দিয়ে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা কোড শেয়ার করতে বাধ্য করে।
গুগল বলেছে, এসএমএস ভেরিফিকেশন কোড যে ডিভাইসে পাঠানো হয় সেখানে ব্যবহারকারীদের প্রবেশাধিকার না থাকায় সমস্যাও দেখা দিয়েছে।
“ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার উৎস হতে পারে এসব এসএমএস কোড,” বলেছেন রিচেনডর্ফার।
“ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে নিরাপদ রাখার জন্য উদ্ভাবনী এক নতুন পদ্ধতি চালু করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।”