Published : 10 Mar 2023, 10:54 AM
চীনে বিভিন্ন ভবন ও বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করলে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে? এক হিসাব বলছে, তা হবে বর্তমান বিশ্বে মোট উৎপাদিত সৌর বিদ্যুতের সমান।
দেশটির শীর্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদক ‘লংগি গ্রিন এনার্জি টেকনোলজি’ হিসাব করে দেখেছে, তাত্ত্বিকভাবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক, সরকারি ও আবাসিক ভবনের ছাদের এক হাজার গিগাওয়াটের বেশি সৌর শক্তি উৎপাদনের সক্ষমতা আছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে কাজ করা বিভিন্ন ফটোভোলটাইক কোষের ক্ষমতার সমান ও ৭৫ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যথেষ্ট। আর এটি সম্মিলিতভাবে চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সকল বাড়ির চাহিদার চেয়েও বেশি।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালিয়েছে চীন। ২০২২ সালে দেশটি ৫১ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা যোগ করেছে, যা ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির ‘গৃহায়ন এবং পল্লী-নগর উন্নয়ন’ মন্ত্রণালয়ের ৫০ গিগাওয়াট সৌর ক্ষমতা যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
এ পরিকল্পনায় কারখানা, আবাসিক ও অফিস ভবনে স্থাপিত প্যানেলের মাধ্যমে কীভাবে সৌর বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়ানো যায়, তার একটি রূপরেখা আছে।
বৃহত্তর জলবায়ু লক্ষ্য পূরণে এই শিল্প এখনও মূল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এর মধ্যে আছে শক্তি সঞ্চয়ের সমাধান, খরচ, এবং গ্রিডের সীমাবদ্ধতার মত বিষয়গুলো। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতাও বাধার মুখে পড়ে।
“গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন কেবল দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং গ্রামবাসীর উন্নত জীবনের প্রত্যাশা পূরণে সবুজ ও তুলনামূলক কম কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রার জন্যেও জরুরি,” মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গকে বলেন লংগি গ্রিন এনার্জি টেকনোলজির চেয়ারম্যান ঝং বাওশেন।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও বর্ডার নিরাপত্তা বিভাগ ‘উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রোটেকশন অ্যাক্ট (ইউএফএলপিএ)’-এর আওতায় যে কয়টি চীনা কোম্পানির পণ্য জব্দ করেছিল তার অন্যতম ছিল লংগি গ্রিন এনার্জি টেকনোলজি। চীনা সংখ্যালঘু উইঘুরদের শ্রম দিতে বাধ্য করার অভিযোগ এই কোম্পানির বিরুদ্ধে আছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইনডিপেনডেন্ট।
সোমবারের এক সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বলেন, সৌর প্যানেল সংশ্লিষ্ট আমদানির ওপর আনা কঠোর নীতিমালা অবশেষে শিথিল হচ্ছে।
“এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশিকা আছে। ফলে, আমরা আরও বেশি শিপমেন্ট দেখতে পাব,” হিউস্টনের সেরাউইক এনার্জি কনফারেন্সে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জন পডেস্টা।
২০৩৫ সাল নাগাদ মার্কিন বাড়ি ও বাণিজ্যিক পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে সকল কার্বন দূষণ সরানোর পাশাপাশি নিজস্ব ক্লিন এনার্জি লক্ষ্য পূরণে এই উন্নয়ন তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইনডিপেনডেন্ট।